মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন মুসলিমরা। বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন অজুহাতে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। বঞ্চিত করা হয়, সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা থেকে। গত কয়েকদিন আগে ৯ মুসলিম যুবককে জঙ্গি তকমা লাগিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এই নিয়ে বিতর্কের শেষ না হতেই নতুন করে আরও ১০ মাদ্রাসার শিক্ষকরে সঙ্গে করা হয়েছে চরম অন্যায় আচরণ।
এদিকে দশজন মাদ্রাসা শিক্ষকের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে কলকাতার সল্টলেকের একটি গেস্ট হাউসের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের অভিযোগ, বুকিং থাকা সত্ত্বেও তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের দোহাই দিয়ে একপ্রকার জোর করে বের দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানায়, অচেনা শহরে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে অসহায় অবস্থায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিজতে হয়েছে তাদের। তারপর শিক্ষকদের একটি সংগঠনের সহযোগিতায় থাকায় জায়গা পান।
ওই সংগঠনের সহযোগিতাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তরে ভুক্তভোগীরা বিষয়টি জানান। পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের করেন বিধাননগর পুলিশের কাছে।
সোমবার সকালের এই ঘটনায় সন্ধ্যা নাগাদ জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট।
সোমবার ভোরে মালদা থেকে কলকাতা আসেন ১০ মাদ্রাসা শিক্ষক। তাদের ডাইরেক্টর অফ মাদ্রাসা এডুকেশন বিভাগে কাজ ছিল।
মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে এবং বিধাননগর পুলিশকে দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে তাদের ঘর দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানায় গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ।
শিক্ষা সংগঠনের নেতা মইদুল ইসলাম জানান, বুকিং-এর সময় অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়। তারপর এদিন সকালে গেস্ট হাউসে পৌঁছানোর পর বৈধ পরিচয়পত্র দেখিয়ে বোর্ডিং করেন ওই দশজন। তার কিছুক্ষণ পর গেস্ট হাউসের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অবশ্য গেস্ট হাউসে ঘর খালি ছিল না বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ।
প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শিক্ষা দপ্তরের বিকাশ ভবন আসেন ১০ শিক্ষক। তারপর মেট্রো ওভারব্রিজের নিচে গিয়ে আশ্রয় নেন তারা। এরপর পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের সহযোগিতায় বিধাননগর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বিকেলে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে বিষয়টি জানান।
তাদের অভিযোগ, গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ অমানবিক আচরণ শুধু করেছেন এমনটি নয়, চরম দুর্ব্যবহারও করেছেন তারা। একপ্রকার বলপূর্বক গেস্টহাউস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে সবাইকে।
এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পথে নামতে চলেছে সিপিএম। এদিন সংগঠনের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম এর প্রতিক্রিয়াতে বলেন, এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এই ঘটনা ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।