বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোণা জেলা কেন্দুয়া উপজেলায় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ আওয়ামী যুবলীগ সমর্থিত দুই পৌর কাউন্সিলর ও এক ইউপি মেম্বারসহ ৯ জুয়াড়িকে আটক করার তিন মাস পর, জুয়া খেলার অপরাধে দল থেকে বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে এবার কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
জানা যায়, কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে রাশেদুজ্জামান যোগদান করার পর মাদক, সন্ত্রাস ও জুয়া খেলা বন্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। এরই অংশ হিসেবে গত ৪ জুন রাতে পৌর এলাকার সাউদপাড়ায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থীত দুই পৌর কাউন্সিলর ও এক ইউপি মেম্বারসহ ৯ জুয়াড়িকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও বিপুল পরিমাণ টাকাসহ আটক করে। পরদিন তাদের প্রিজনভ্যানে করে আদালতে হাজির করা হয় ও পরে জুয়ারীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে আসে। গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে জুয়ার আসর বসানো ও একাধিক জুয়া মামলার আসামি থাকায় দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় তাকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
লিখিত অভিযোগের পরও কেন্দুয়া থানার ওসিকে অপসারণ করতে না পারায়, ঘটনার তিন মাস পর বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ওসি রাশেদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৩১ আগস্ট কেন্দুয়া আমলী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লাহকে এফআইআর ভুক্ত করার নির্দেশ দিলে ওসি তদন্ত গত ৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি এফআইআর ভুক্ত করেন।
এ ব্যাপারে মামলার আসামি কেন্দুয়া থানার ওসি রাশেদুজ্জামান জানান, সরকারি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় নেতাকর্মী দীর্ঘদিন ধরে থানার দালালীসহ কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। সরকার মাদক, জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করার পর তাদের সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করায়, তারা আমার বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পরে পুলিশি তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় তারা এবার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনয়ন করে আদালতে মামলা করেছে।
গত ৪ জুন রাতে পৌরএলাকার সাউদপাড়ায় অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলা অবস্থায় মামলার বাদী যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফাসহ ৯ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরদিন তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে পাঠানো হয়। অথচ মামলার বাদী তার মামলায় তারিখ ও সময় একই দেখিয়ে আটকের স্থান দেখিয়েছেন বাদীর নিজ গ্রাম ছিলিমপুরে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুল জানান, যুবলীগ নেতা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে জুয়ার আসর বসানোসহ নানা ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ থাকায়, তাকে দল থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হই। এর আগেও জুয়া খেলতে গিয়ে, মোস্তফা পার্শ্ববর্তী মদন থানায়ও কয়েকবার আটক হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করলেই আরো তথ্য বেড়িয়ে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।