বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সার্ভার জটিলতার অযুহাতে ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্র থেকে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ পেতে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সঙ্কট সমাধানে ইন্টারনেট সার্ভার উন্নয়ন কাজে ধীর গতিকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় প্রতিদিন স্থানীয়রা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করতে আসেন। সাধারণত নিবন্ধন প্রক্রিয়া মুহূর্তে হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সার্ভারে গতি না থাকায় ৩ থেকে ৭ দিনেও শেষ হয় না নিবন্ধন কার্যক্রম। এতে জরুরি প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ এ কাজে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
সরকারি নিয়মে কোন শিশুর জন্ম হলে তার ৪১ দিনের মধ্যে এবং কারো মৃত্যু হলে পরবর্তী ১ সপ্তাহের মধ্যে নিবন্ধন করার কথা রয়েছে। এর আগে পরে হলে নির্ধারিত ফি প্রদান করা জরুরি। এদিকে বিভিন্ন দফতরে এ নিবন্ধনকে গুরুত্ব দেয়ায় বাড়তি চাপ পোহাতে হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রকে। একই ব্যক্তি শতাধিক লোকের ফরম পূরণ, অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়ার কাজ করতে যেয়ে হিমসিম খাচ্ছেন। এদিকে সার্ভারে গতি না থাকায় একটি ফরম পূরণে ব্যয় হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে বিপুল সংখ্যক জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় শিক্ষার্থী মাহিম তাফরিজ বলেন, তার জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনরায় তুলতে তিন দিন আগে একবার এসেছিলেন রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে। সে সময় সার্ভারে সমস্যার কথা বলে ২ দিন পরে দেখা করতে বলেন। কিন্তু তৃতীয় দিনেও নিবন্ধন সনদ পাইনি।
রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কাছে এসব হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একদিকে ইন্টারনেটের গতি কম, অন্যদিকে সারাদেশেই সার্ভার জটিলতা বিদ্যমান। ফলে জনগণের চাহিদা মাফিক নিবন্ধন করা সম্ভব হয় না। এতে আমাদের ওপর অনেকেই ক্ষিপ্ত হন। তাছাড়া একটা সময় কোন নিবন্ধনকারীকে অনলাইনে খুঁজে পেতে তার জন্ম তারিখ বা এলাকাভিত্তিক নাম সার্চ করলে পাওয়া যেত। এখন সে সফটওয়্যার নেই। ফলে চাইলেই সহজে খুঁজে নিবন্ধন তথ্য দেয়া বা প্রত্যয়ন সরবরাহ সম্ভব হয় না।
একই চিত্র দেখা গেছে উপজেলার দাউদপুর, ভোলাবো, কায়েতপাড়া, মুড়াপাড়া, ভুলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের। বাদ যায়নি দুটি পৌরসভায় সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানি। এ হয়রানির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দায় নেই দাবি তাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ নুসরাত জাহান বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সংশ্লিষ্ট সার্ভার উন্নয়নের কাজ চলছে। ভোগান্তির বিষয়টি জানলাম। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি খুব দ্রুত এ সমস্যা দূর হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।