Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউরোপ থেকে নয়, চীন ও রাশিয়ার অস্ত্র কিনবে ইরান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৫৩ পিএম

ইউরোপ থেকে নয়, চীন ও রাশিয়ার অস্ত্র কিনবে ইরান, এমনই আভাস দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ বলেছেন, আগামী অক্টোবরে ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তার দেশ ইউরোপ থেকে কোনো অস্ত্র কিনবে না। রাশিয়া এবং চীন থেকে অস্ত্র কিনলেই ইরানের প্রয়োজন মিটে যাবে। -স্পুটনিক
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিরুদ্ধে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি থেকে দেশটি যাতে অস্ত্র কিনতে না পারে সে প্রচেষ্টা নেয়ার পর জারিফ এমন্তব্য করলেন। তিনি বলেন, ইসলামি বিপ্লবের পর ইউরোপ তেহরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে নি এবং ইরাক আগ্রাসন চালালে ইউরোপের দেশগুলো বরং ইরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে। অস্ত্র বিক্রির জন্য আমরা ইউরোপের ওপর চাপ সৃষ্টি করবো না। এদিকে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী, আইআরজিসি’র প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রকৃতপক্ষে কোনো প্রতিশোধ ছিল না। আমরা কোনো মার্কিন সেনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সেখানে হামলা চালায়নি। আমরা শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম যে, আমরা যা বলি তাই করি এবং তা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। জেনারেল সালামি বলেন, মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দিন আমরা বড় ধরণের যুদ্ধের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিল যে তারা ইরানের ৫২টি স্থাপনায় হামলা চালাবে। আমরা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি ইরান ভয় পায় না। ইরান ৪০ বছর ধরে বড় ধরনের যুদ্ধে বিজয়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে কোনো যুদ্ধে জড়ানোর অবস্থায় নেই। সালামি আরও বলেন, যুদ্ধের প্রস্তুতি থাকলেও ইরান কখনোই যুদ্ধ চায় না। কিন্তু যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার জন্য ইরান সব সময় প্রস্তুত থাকে।

তিনি বলেন, জেনারেল সোলাইমানির পর্যায়ের কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা তার পর্যায়ের কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। কয়েকজন মার্কিন সেনা বা জেনারেলকে হত্যা করে এর প্রতিশোধ হবে না। জেনারেল সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার কাজ তখনি সম্পন্ন হবে যখন তার লক্ষ্য-আদর্শ বাস্তবায়িত হবে। জেনারেল সোলাইমানি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যকামী ব্যবস্থার পতন চেয়েছিলেন। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যকামী ব্যবস্থার পতন ঘটিয়েই সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া হবে। গত ৩ জানুয়ারি ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে দেশটি সফরে গেলে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের কুদস ফোর্সের তৎকালীন কমান্ডার জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী মার্কিন সেনারা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নির্দেশেই জেনারেল সোলায়মানিকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ