মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তথা মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষের অভিযোগ আগে থেকেই রয়েছে। এবার তার বিরুদ্ধে নতুন করে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি নিজে তো সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে খরচ করছেনই না, বরং কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকাও আটকে দিচ্ছেন।
শনিবার ভারতের সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় সংসদে যে তথ্য পেশ করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে কেন্দ্র যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল, তার ১০ শতাংশও খরচ করেনি উত্তরপ্রদেশ সরকার। অর্থাৎ, ভারতের সংখ্যালঘু জনসংখ্যার একটা বড় অংশ উত্তরপ্রদেশে বসবাস করলেও তাদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ৯০ শতাংশের বেশি টাকা ব্যবহারই করা হয়নি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোর সাংসদরা রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছিল প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের সরকার খরচ করেছে মাত্র ১৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। বাকি টাকা অব্যবহৃত হয়ে রয়ে গেছে। এর আগে অখিলেশ যাদবের সরকার থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে অনেক বেশি খরচ হতো। মুখ্যমন্ত্রিত্বের শেষ বছর অখিলেশ সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে কেন্দ্রের বরাদ্দের ৬২ শতাংশ খরচ করেছিলেন। কিন্তু যোগী সরকারের আমলে তা একধাক্কায় অনেকটা কমেছে। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি। তিনি বলছেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মুসলিম এলাকাগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির টাকাটাও নেই। কেন্দ্র যদি টাকা ছেড়েই থাকে তাহলে রাজ্য সরকার কেন আটকাচ্ছে? কেন্দ্রের উচিত উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা। আর রাজ্য সরকারের উচিত তা সঠিকভাবে খরচ করা।’
উত্তরপ্রদেশের আমরোহা, মোরাদাবাদের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার সাংসদরা বলছেন, ‘এই খরচের অংকটাই মুখ্যমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী মানসিকতার প্রমাণ দেয়।’ উল্লেখ্য, যোগী আদিত্যনাথ নিজেকে হিদুত্ববাদী আইকন হিসেবে তুলে ধরতেই পছন্দ করেন। তার বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগও নেহাত কম নয়। তবে, এবার যে অভিযোগ উঠল তা রীতিমতো উদ্বেগের, অন্তত বিরোধী শিবির তেমনটাই মনে করছে। সূত্র: ইকনোমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।