বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া থেকে : ভুল চিকিৎসা ও চিকিৎসার নামে প্রতারণার মাধ্যমে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা: একেএম আহসান হাবিব-এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বগুড়া শহরতলীর নাটাইপাড়া এলাকার আব্দুল্যাহ হোসেন ফকিরের স্ত্রী বছিরণ বেগম ওরফে মছিরন বিবি বাদী হয়ে গতকাল বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে জেলা বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: কামরুজ্জামান অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শককে (ওসি) নির্দেশ প্রদান করেছেন।
আদালতে দায়েরকৃত মামলার আইনজীবী মো: ওমর ফারুক জানান, পেটে ব্যথার চিকিৎসা নিতে বাদী মছিরন বিবি শহরের ঠনঠনিয়া জিএসএ মডেল ক্লিনিকের তৎকালীন চিকিৎসক একেএম আহসান হাবিবের শরণাপন্ন হন। পরীক্ষা-নীরিক্ষা শেষে ২৬/০৮/২০১৫ইং তারিখ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাদীনির পেট থেকে একটি টিউমার অপসারণ করা হয়। বাদীনির পেট থেকে উদ্ধারকৃত টিউমারে ক্যান্সারের জীবাণু আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য টিউমারের নমুনা ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার আনোয়ারা মেডিকেল সার্ভিসেস সেন্টারে পাঠানো হয়। প্রাপ্ত রিপোর্টে ক্যান্সারের জীবাণু না থাকা সত্তে¡ও ডা: একেএম আহসান হাবিব জানান, ওই টিউমারে ক্যান্সারের জীবাণু পাওয়া গেছে। ক্যান্সারের জীবাণু নির্মূল করতে প্রতি সপ্তাহে ১টি করে ৬টি ক্যামোথ্যারাপি দিতে হবে। যার প্রতিটির মূল্য ৪০ হাজার টাকা হিসেবে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফিস বাবদ ৬০ হাজার টাকা সর্বমোট ৩ লক্ষ টাকা লাগবে। নিজের জীবন রক্ষার্থে বাদীনি বাড়ির গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগিসহ মূল্যবান জিনিসপত্র বিক্রি করে ১৩/১০/১৫ইং তারিখ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আসামি ডা: একেএম আহসান হাবিবকে প্রদান করেন। ২টি ক্যামোথ্যারাপি দেয়ার পর বাদিনী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামী তার স্ত্রীকে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে অবস্থিত খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে নতুনভাবে চিকিৎসা শুরু করেন। সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, মছিরন বিবির পূর্বের চিকিৎসা ভুল ছিল। খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাদিনী সুস্থ হয়ে ওঠার পর ডা: একেএম আহসান হাবিব-এর চেম্বারে গিয়ে পূর্বে প্রদানকৃত টাকার দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। বাদীনির অভিযোগ হলো হত্যার উদ্দেশ্যে আসামি তাকে ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন। আসামি বাদিনীকে ভুল চিকিৎসা করিয়ে বিশ্বাসভঙ্গপূর্বক প্রতারণামূলকভাবে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এজন্য বাদিনী আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দÐবিধির ৪০৬, ৪২০ ও ৩০৭ ধারায় বিচার দাবি করেন। বিজ্ঞ আদালত আগামী ২৯/১১/২০১৬ইং তারিখ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডা: একেএম আহসান হাবিবের সাথে তার ব্যবহৃত সেল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।