মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত সোমবার ইন্টারনেট মার্কেট বিল পাস হয়েছে। এই বিল ইইউ উইথড্রয়াল চুক্তির সরাসরি বিরোধী হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইইউ’র দেশগুলো। হুমকি দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ও মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও। তবে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করতে চাইল যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব ডমিনিক রাব জানালেন, তাদের ব্রেক্সিট প্রস্তাবে উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি বিঘ্নিত হবে না।
জো বাইডেন টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তি উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি এনেছে। ব্রেক্সিটের নামে সেই চুক্তি বানচাল করা যাবে না। ভবিষ্যতে অ্যামেরিকা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তির ভিত্তিই হবে, গুড ফ্রাইডে এগ্রিমেন্টকে মানা বা না মানা।’ এর পরেই বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পেওকে পাশে নিয়ে ডমিনিক রাব জানিয়েছেন, গুড ফ্রাইডে চুক্তি হলো চূড়ান্ত বিষয়। তাকে বানচাল করার কোনো প্রশ্নই নেই। সিএনএন-কে রাব বলেছেন, ‘গুড ফ্রাইডে চুক্তি নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই। আমাদের এ ব্যাপারে কোনো দ্বিধা নেই। চুক্তি বিঘ্নিত হবে না। আপনারা আশ্বস্ত থাকতে পারেন, আমরা চুক্তি পালনে দায়বদ্ধ। ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে হার্ড বর্ডার নীতি নিয়ে চলব।’
ইইউ-র তরফে ব্রেক্সিট নিয়ে যারা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলছেন, তারাও মনে করছেন, এই ধরনের বিল উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে। উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের অঙ্গ, কিন্তু রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড ইইউ-তে থাকছে। সে ক্ষেত্রে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের হার্ড বর্ডার তৈরি হবে। কিন্তু গুড ফ্রাইডে চুক্তিতে বলা রয়েছে, ওপেন বর্ডার থাকবে। যুক্তরাজ্যের পাঁচজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীও ইইউ উইথড্রয়াল চুক্তি ভাঙা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু রাব সব দায় ইইউ-র ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইইউ বিষয়টির রাজনীতিকরণ করছে। সে জন্যই গুড ফ্রাইডে চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আয়ারল্যান্ডের প্রভাব বরাবরই আছে বলে যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের সাড়ে তিন কোটি মানুষ আদতে আয়ারল্যান্ড থেকে গেছেন। আইরিশ-আমেরিকান রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও আয়ারল্যান্ড ঘনিষ্ঠ যোগ রাখে। সূত্র: এএফপি, এপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।