Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অচল ফিশারিঘাট

কক্সবাজারে বরফের দাম বৃদ্ধিতে প্রতিবাদ

কক্সবাজার ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:১৮ এএম

কক্সবাজারে সিন্ডিকেট করে বরফের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করেছে মিল মালিকরা। এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ৫ লাখ মৎস্য ব্যবসায়ী। অতিরিক্ত দামে বরফ বিক্রি ও মিল মালিকদের এমন স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে গতকাল থেকে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (ফিশারীঘাট) সব ধরনের মাছ বেচাকেনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড, জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতি ও মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ। এতে অচল হয়ে পড়ে কক্সবাজারের ফিসারীঘাট।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছভর্তি ফিশিংবোটের জট। সাগর থেকে মাছ নিয়ে ফিশারীঘাটে আসলেও বন্ধ রয়েছে বেচাকেনা। লোড-আনলোড হচ্ছে না মাছের ট্রাক। অলস সময় পার করছে শ্রমিকরা। হাজার হাজার মৎস্য ব্যবসায়ী মাছ ক্রয়-বিক্রয় বাদ দিয়ে ধর্মঘট পালন করছে। কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি ওসমান গণি টুলু ও সাধারণ সম্পাদক জানে আলম পুতু বলেন, একটি বরফ তৈরিতে খরচ হয় ৪০ টাকা থেকে ৪২ টাকা। কিন্তু মালিকরা সিন্ডিকেট করে সেই বরফ বিক্রি করছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। তাছাড়া এসব বরফের মানও ভালো না। বাইরের জেলার একটি বরফের ওজন ১০০ কেজি। কিন্তু এখানকার বরফের সাইজ ছোট ও ওজন মাত্র ৩০ কেজি। অধিক দামেও বরফ কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। মৎস্য ব্যবসায়ীদের পুরোদমে বরফ মিল মালিকেরা জিম্মি করে রেখেছে।

কক্সবাজার ফিশিংবোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাছ মজুদ, সংরক্ষণ ও রফতানিতে দৈনিক প্রায় ৩০ হাজার বরফের প্রয়োজন হয়। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে কক্সবাজারের ২০টির মতো বরফ মিলে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার পিস বরফ উৎপাদন হয়। তাই ঘাটতি মেটাতে চট্টগ্রাম, মহিপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, খুলনা, বরগুনাসহ আরও কয়েকটি জেলা থেকে বরফ সংগ্রহ করেন কক্সবাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কিছুদিন ধরে মিল মালিকেরা সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ করেছে বরফের। মাছ মজুদ ও সংরক্ষণে বরফেই খরচ হচ্ছে বিপুল টাকা। ফলে লাভের বিপরীতে লোকসান গুণতে হচ্ছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের।

কক্সবাজার মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আলহাজ নুরুল ইসলাম চিশতী বলেন, অতিরিক্ত দামে বরফ কিনতে গিয়ে চরম লোকসানের সম্মুখিন হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। বরফ মিল মালিকরা এই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিষয়টি সন্তোষজনক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মাছ ও ক্রয়-বিক্রয় হবে না বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে বরফের ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ, মৎস্য আহরণ স্বাভাবিক ও বেচাকেনা সচল রাখতে স্মারকলিপি দিয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এরশাদ উল্লাহ সওদাগর, বাশি সওদাগর, কায়সার সওদাগর, নাছির সওদাগর, জসিম উদ্দিন সওদাগর, আমির হামজা সওদাগরসহ মৎস্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিশারিঘাট

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ