বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কয়েকবার আবেদনের পরও পাওনা বেতন ভাতাদি পরিশোধ না করায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মোকাদ্দমা দায়ের করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক এক ভিসির স্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ভিসি ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের স্ত্রী মোমেনা জীনাত বিশ্ববিদ্যালয় অধীনস্ত শেখ রাসেল মডেল স্কুলের সাবেক প্রিন্সিপাল ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাজশাহী যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এ মোকাদ্দমাটি দায়ের করা হয়।
মোকাদ্দমায় বিবাদীরা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারী, বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিউটের পরিচালক এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল।
মোকদ্দমা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৩০ জুন শেখ রাসেল মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রাক-অবসর অবকাশে যান বাদী মোমেনা জীনাত। প্রাক-অবসর অবকাশে যাওয়ার আগে গত বছরের ৩০ মে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিউটের পরিচালকের মাধ্যমে বকেয়া বেতন, প্রাক-অবসর অবকাশ সময়কালীন এক বছরের বকেয়া বেতন, দুটি বোনাস, বৈশাখি ভাতা, অর্জিত ছুটির বিপরীতে প্রাপ্য টাকা, পূর্ণ অবসর ভাতা এবং পেনশন, গ্রাচুইটি সহ প্রাপ্য অর্থাদি প্রদানে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন জানান তিনি।
ফের গত বছরের ১১ জুলাই এবং ২২ সেপ্টেম্বর দুবার ভিসির কাছে পাওনা অর্থাদি প্রদানে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানান। এবারও আবেদনের জবাব না পেয়ে গত বছরের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, রেজিস্ট্রার, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিউটের পরিচালক এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুলের প্রিন্সিপাল বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান তিনি এবং ৩০ দিনের মধ্যে পাওনাদি পরিশোধের জন্য জানান।
তবে নোটিশ প্রাপ্তির পরও নোটিশের জবাব এবং পাওনা অর্থাদি পরিশোধ না করায় এ বছরের ৯ জানুয়ারি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য প্রেসিডেন্ট বরাবর আপিল দায়েরের উদ্দেশ্যে মেমো অব আপিল কপি প্রেরণ করেন। প্রেসিডেন্ট মেমো অব আপিল প্রাপ্ত হওয়ার ৩০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও পাওনা অর্থাদি পরিশোধিত না হওয়ায় মোকদ্দমাটি দায়ের করেন তিনি। মোকদ্দমায় তিনি বিবাদির বিরুদ্ধে পাওনা অর্থাদি, যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং মোকদ্দমার যাবতীয় খরচ বহনের ডিক্রির আবেদন জানান।
মোকদ্দমার বিষয়ে মোমেনা জীনাত বলেন, প্রাপ্য অর্থাদি পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সবধরণের নোটিশ আমি দিয়েছি। অন্য কোন প্রতিকারের সুযোগ না থাকায় মোকদ্দমাটি দায়ের করতে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য জানতে চাইলে বিশ^বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী লিগ্যাল সেলে যোগাযোগের জন্য বলেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় লিগ্যাল সেল প্রশাসক অধ্যাপক ড. শাহীন জোহরা মোকদ্দমা দায়ের সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বক্তব্য জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, বিচারাধীন বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।