Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাস জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ

ময়মনসিংহ ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের ১২নং মদন বাবু রোড এলাকায় অর্ধকোটি টাকা মূলের খাস জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মান করছে এক প্রভাবশালী পরিবার। এনিয়ে সচেতন মহলে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 

সূত্র মতে, এ জাল-জালিয়াতির ঘটনায় বিজ্ঞ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) একটি মোকাদ্দমা দায়ের করেছেন। তবে ওই মোকাদ্দমায় ভুলে ভরা তথ্য উপস্থাপন করায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরীর ৮নং ওয়ার্ডের ১২নং মদন বাবু রোড এলাকায় ১২৩৯ খতিয়ানের ৬৭৫৮ দাগের ২ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক আশুতোষ ঘোষ র্দীঘকাল পূর্বে কারো নিকট হস্তান্তর না করে ভারত চলে যান। পরে ওই জমিটি সরকারের খাস খতিয়ানে তালিকাভুক্ত হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সুনীল চন্দ্র পাল নামের এক ব্যক্তি স্বাধীনতা সংগ্রামে নান্দাইল সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে ১৯৫২ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত সকল নথিপত্র পুড়ে যাওয়ার সুযোগে ১৯৬৪ সনের ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখ দেখিয়ে ওই রেজিস্ট্রি অফিসে একটি জাল দলিল সৃজন করেন। পরে ময়মনসিংহ সদর ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে অর্পিত সম্পত্তি নীতিমালা লঙ্গন করে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর আশুতোষ ঘোষের পক্ষে জমিটির খাজনা পরিশোধ করেন সুনীল চন্দ্র পাল।
এ ঘটনার ৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর নিজ পুত্র তাপস কুমার পালের নামে ওই জমিটি দানপত্র দলিল করে দেন সুনীল। এর মাত্র ১২দিন পর ওই জমিটিই তাপস পাল তার স্ত্রী বিউটি রানীর নামে দলিল করে দেয়। ওই দলিলে দাবি করা হয় ১৯৮৮ সালের ৩৫নং অন্য প্রকার মোকাদ্দমায় আদালত কর্তৃক জমিটি অর্পিত সম্পত্তির তালিকা হতে অবমুক্ত হয়। অথচ ওই ৩৫ নং অন্য প্রকার মোকাদ্দমাটি নগরীর টাউন হল মৌজার ২৮৮৮ ও ২৮৮৯ দাগের। যার বাদী নগরীর বাউন্ডারী রোডের বাসিন্দা মোছা: তাজকেরা খাতুন।
এসব বিষয়ে বিউটি রানী পাল বলেন, আশুতোষের পক্ষে খাজনা পরিশোধ করে আমার শ্বশুড় ভুল করেছেন। পরে আমার দলিলে অন্য মোকাদ্দমার তথ্য উপস্থাপন করে সংশ্লিষ্ট দলিল লিখক আরেকটি ভুল করেছেন। তবে আমার দলিল সঠিক। বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) অবগত। তিনি দাবি করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমার মেয়ের জামাইয়ের বন্ধু। তিনি সব জানেন।
মোকাদ্দমার বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতের জি.পি অ্যাড. মো: আনোয়ার হোসেন খান বলেন, মোকাদ্দমার আরজিতে কিছু ভুল আছে। তা সংশোধন করা হয়েছে, দাখিল করা হবে। এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বলেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনায় সরকারের স্বার্থ থাকায় মোকাদ্দমা দায়ের করা হয়েছে। তবে ওই মোকাদ্দমায় কিছু ভুল আছে, তা সংশোধন করা হবে। তিনি দাবি করেন, বিউটি রানীর মেয়ের জামাই আমার বন্ধু নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খাস-জমি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ