রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
খাটি সউদী জাতের খেজুর গাছের আবাদে সফল হয়েছেন বরিশালের উজিরপুরের ধামসর গ্রামের মামুন হাওলাদার। দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাস জীবন কাটিয়ে ২০১৫ সালে বামরাইলের নিজ ভিটায় ফিরে সউদী জাতের খেজুরের আবাদ শুরু করেছেন। আবাদের ৫ বছরের মধ্যেই সফলতা মুখ দেখেছেন তিনি। তার বাগানের খেজুর ইতোমধ্যে খাবার উপযোগী হয়েছে। প্রতিদিনই তার বাগানের সউদী খেজুর দেখতে দূর দুরান্ত থেকে মানুষ আসছে। ইতোমধ্যে উৎপাদিত এ খেজুরের বাজার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা বলে মামুন জানিয়েছে।
আগামীতে তার বাগানে রোপন করা দুশ’ গাছেই ফলন আসলে বছরে অন্তত ১০ লাখ টাকার খেজুর বিক্রি করার লক্ষ্য রয়েছে মামুনের। তবে ইতোমধ্যে তিনি নিজ বাগানেই উৎপাদিত বেশ কিছু চারাগাছ বিক্রি করেছেন। বিক্রিই পাশাপাশি অন্যকে এ জাতের খেজুর চাষে সব ধরণের সগযোগিতার কথাও জানান তিনি। তার স্বপ্ন দক্ষিণাঞ্চল সউদী খেজুর আবাদে মডেলে পরিনত হোক। আর বড় স্বপ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশ সউদী জাতের খেজুর উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন করুক।
তিনি জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর সউদী আরবের বিভিন্নস্থানে চাকরি করার সুবাদে সেদেশের খেজুরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। সুযোগ পেলেই খেজুর বাগানে ঘোরাঘুরি করে এর আবাদ প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করেছেন। দেশে ফেরার আগে থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে সউদী খেজুর গাছের চারা দেশে পাঠাতে শুরু করেন তিনি। নিজে ২০১৫ সালে সউদী প্রবাস জীবনের ইতি টেনে দেশে ফেরার সময়ও আরো বেশ কিছু চারা সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।
এরপরে আর পেছনে ফিরে তাকায়নি মামুন । প্রবাসে বহু কষ্টে অর্জিত প্রায় ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে সে গড়ে তুলেছে সউদী জাতের দুইশত খেজুর গাছের বাগান। আর বহু কষ্টের সে বাগান ইতোমধ্যেই তাকে সফলতা এনে দিতেও শুরু করেছে। সম্পূর্ণ নিজ অভিজ্ঞতায় ভর করে সীমাহীন ঝুঁকি নিয়ে গড়ে তোলা বাগানের বেশকিছু গাছে খেজুর ধরেছে। গাছে গাছে থোকা থোকা খেজুর মামুনের চোখে আশার আলো আর মুখে উজ্জল হাসি নিয়ে এসেছে ইতোমধ্যে। বাগানে আরো বেশ কিছু চারা গাছ বিক্রির উপযোগী হয়েছে।
তার মতে, দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকার মাটি এ খেজুর গাছের জন্য উপযোগী। তবে এজন্য নিবিড় পরিচর্যা প্রথম শর্ত। সে এ পর্যন্ত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বা কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে তেমন কোন সহায়তা নেয়নি বা পায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মাটিতে সউদী জাতের খেজুর আবাদ ও উৎপাদন সম্ভব। মামুনসহ যে কেউ এ ধরনের কারিগরি সহায়তা চাইলে তা করা হবে বলেও জানান কৃষি কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।