নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন উত্তপ্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গন। আগামী ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বহুল আলোচিত এই নির্বাচন। বাফুফের তিনবারের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন এবার চতুর্থবারের মতো প্রার্থী হয়েছেন। তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সভাপতি পদে লড়ছেন বাফুফের বর্তমান কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি ও সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায় এবং আরেক সাবেক ফুটবলার ও জাতীয় দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। যদিও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১২ সেপ্টেম্বর বাদল নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলে বাফুফের নির্বাচন কমিশন তার আবেদন গ্রহণ করেনি। ফলে ব্যালট পেপারে ঠিকই নাম থাকছে বাদলের। তাই বলা যায় নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও ভোটে ঠিকই থাকছেন বাদল রায়।
এদিকে কাজী সালাউদ্দিন চতুর্থবারের মতো বাফুফের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় তার বিরোধীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের দাবী গত ১২ বছর সালাউদ্দিনের দায়িত্বকালে দেশের ফুটবল উন্নয়নে কোন কাজই হয়নি। তাই তারা সালাউদ্দিনকে বয়কটের জন্য তার সমালোচনায় মুখর হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছে। তবে বাফুফের নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে নিশ্চুপ থাকলেও এবার মুখ খুললেন সালাউদ্দিন। বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাফুফে নির্বাচন নিয়ে বললেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা। বাদল রায়ের প্রার্থীতা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি বাদলের আবেদন নির্দিষ্ট সময়ের পরে পায়, তাহলে এটা কেনো তারা গ্রহন করবে। তারপরও নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন বলে সেটা গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ নেই। ওর (বাদল রায়) নাম যখন ব্যালটে আছে, তাহলে তো ভোটেও থাকবে।’ নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছেন? এমন প্রশ্নে সালাউদ্দিনের উত্তর,‘নির্বাচনকে হালকা করে দেখছি না। এর আগে তিনটা নির্বাচন করেছি। আমার কাছে সব প্রতিপক্ষই সমান। আমি যখন ফুটবলার ছিলাম, তখন ছোট কিংবা বড় দল কোনো বিচার করতাম না। সবাইকে সমানভাবেই দেখতাম। আপনাকে ছোট দলের সঙ্গে জিততে হবে, বড় দলের সঙ্গেও তাই। সব নির্বাচন একই রকম।’
প্রতিপক্ষ বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিককে বাফুফে সভাপতির মন্তব্য, ‘আমি বাফুফের সভাপতি। তাই নির্বাচনে কারও বিরুদ্ধে বলাটা উচিত হবে না। এটা রুচির বাইরে চলে যাবে। আমার কাজ হলো ভোট চাওয়া, নির্বাচন করা। আমি যে প্যানেল করেছি, যোগ্যসম্পন্ন লোকদের নিয়েই তা করেছি। এর চেয়ে ভাল লোক পাব না। আমার প্যানেলে সহ-সভাপতি দু’জন নতুন এসেছেন তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান মানিক এবং বসুন্ধরা কিংসের ইমরুল হাসান। এরা অনেক দিন ধরেই সাংগঠনিকভাবে বেশ ভাল।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের সমালোচনা নিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি জনপ্রিয় বলেই আমাকে নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে। আমার নিজের ফেসবুক নাই, আমাকে নিয়ে কী হচ্ছে তা আমি জানি না। আমার অফিস থেকে এগুলো আমাকে বলা হয়। ধরেন এক হাজার ডিসলাইক আসলো। কি নামে? কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ নামে। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন আমার নাম কাজী মো. সালাউদ্দিন। এটা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না। আমি তো অ্যাকশন নেয়ার জন্য এখানে আসিনি। এখানে ফুটবল নিয়ে কাজ করতে এসেছি। তারা বলছে, আমাকে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ করার তো কারণ নেই। কারা বলে পদত্যাগ করতে, যারা ফুটবল খেলেনি। ফুটবল খেলে এমন কোনো লোক আমাকে বলেছে পদত্যাগ করতে?’
নির্বাচন পেছানো নিয়ে সহ-সভাপতি বাদল রায় ও মহিউদ্দিন আহমেদ মহির আবেদনপত্রের বিষয়ে বাফুফে বসের কথা, ‘বাদল আর মহি একটা অভিযোগ দিয়েছে। আপনি যদি সেটা পড়েন, তাহলে দেখবেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একই রকম লেখা। দাড়ি, কমা, ফুলস্টপ সবই এক। তার মানে এটা একটা অফিস থেকে হচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আপনি যে চিঠিটা লিখবেন সেটা কী শতভাগ এক হবে। তাই আমি মনে করি এই গ্রুপটা সস্পূর্ন বাফুফের বিরুদ্ধে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।