Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মতলব উত্তরে ডাকাত আতঙ্ক সাধারণ মানুষের কাটছে নির্ঘুম রাত গ্রাম রক্ষায় বসিয়েছেন পাহারা

প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে হঠাৎ করে ক’দিন ধরে ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছে। বিভিন্ন গ্রামে দল বেঁধে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে যুবকরা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে অনন্ত ৭টি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বিশেষ করে শ্রীরায়েরচর থেকে মতলব সড়কের আশপাশের বাড়িগুলোতেই এ ডাকাতির ঘটনা বেশি ঘটছে। রাতের বেলা ডাকাতরা মাইক্রোবাস অথবা পিকআপ ভ্যান নিয়ে রাস্তার পাশের বাড়িগুলোতে আক্রমণ করছে। মহিলা ও শিশুদের জিম্মি করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান আসবাবপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে। টাকা-পয়সা বা জিনিসপত্র দিতে না চাইলে মারধর থেকে শুরু করে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ফলে সাধারণ মানুষ শিশু ও নারীদের কথা চিন্তা করে মূল্যবান মালামাল দিয়ে দিচ্ছে। হঠাৎ করে ডাকাতি বেড়ে যাওয়ায় গ্রামের যুবকরা দল বেঁধে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে। গ্রামের মানুষ দিন শেষ হলেই আতঙ্কিত রাতের জন্য অপেক্ষা করছে। এলাকাবাসী জানান, সামনে কোরবানীর ঈদ ও সেচ প্রকল্পের বাইরে বন্যা দেখা দেয়ায় এই এলাকায় ডাকাতি বেড়ে গেছে। উপজেলার নিশ্চিন্তপুর, ঘাসিরচর, কলসভাঙ্গা, কাশিমনগর, মমরুজকান্দি, ইসলামাবাদ, পশ্চিম সুজাতপুর গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে গ্রামের যুবকরা পালা করে দলবেঁধে পাহারা দিচ্ছে। গত ৩০ জুলাই জঙ্গল ইসলামাবাদ গ্রামের নোয়াব আলীর ঘরে ডাকাতি হয়েছে। তার মেয়ে রুমা আক্তার জানান, আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে আমার বাবা ও মাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ সাড়ে ১৯ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। একই রাতে পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামের তাফাজ্জল হোসেন প্রধানের ঘরে ডাকাতি হয়। তিনি জানান, ডাকাতরা তার ঘরে প্রথমে একজন সিঁদ কেটে প্রবেশ করে ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫ ভরি রূপা, ৩টি দামি মোবাইল ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী গ্রাম ঘাসিরচরের ইউসুফ আলী জানান, আমি গরিব মানুষ। দিন এনে দিন খাই। ডাকাতরা আমার ঘাড়ে ধারালো রামদা দিয়ে হত্যার ভয় দেখায়। আমি খুব ভয় পেয়েছি। আমার ঘরে ৫শ’ টাকা ও আমার ভাই শুক্কুর আলীর ঘর থেকে ১ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর গলা থেকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন মজুমদার বলেন, ডাকাতির বিষয়টি আমি অবগত আছি। ডাকাতির পর আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অতিরিক্ত টহল ডিউটি বাড়ানো হয়েছে এবং উপজেলার টরকী গ্রামের রফিক নামে একজন ডাকাত সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে। এ বিষয়টি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তবে ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে বলে আমার মনে হয় না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মতলব উত্তরে ডাকাত আতঙ্ক সাধারণ মানুষের কাটছে নির্ঘুম রাত গ্রাম রক্ষায় বসিয়েছেন পাহারা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ