Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের প্রপৌত্র যুবরাজ সাজ্জাদের প্রাণ গেলো কোভিড সংক্রমণে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৫৫ পিএম

রোবরার সন্ধ্যায় মেটিয়াবুরুজে নবাবি ঘরানার শেষ যুবরাজ ও নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের প্রপৌত্র সাজ্জাদ আলি মির্জার প্রাণ গেলো কোভিড সংক্রমণে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।বাদশা ওয়াজিদ আলি শাহ ও বেগম হজরত মহলের লখনৌ নবাবি ঘরানার শেষ বংশধর ছিলেন সাজ্জাদ। -টাইমস অব ইন্ডিয়া
তাকে যুবরাজ বলেও ডাকতেন পরিবারের লোকজন। ইংরেজদের কাছে সিংহাসন খুইয়ে এই নবাব একদিন এসে পৌঁছেছিলেন কলকাতায়। সাজিয়ে তুলেছিলেন তার সাধের মেটিয়াবুরুজকে। সম্রাট শুধু নয়, নবাব ছিলেন একজন শিল্পী, গায়ক, গজল লিখিয়ে, সুরকার-নাট্যকার, সাহিত্যিক, ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের ইতিহাসে এক অনন্য নাম। সংস্কৃতিমনস্ক নবাব মেটিয়াবুরুজেই তৈরি করেছিলেন লখনৌয়ের নবাবি ঘরানার ছোট সংস্করণ। সেই বাদশা ওয়াজিদ আলি শাহকে কলকাতা চেনে অওয়াধি বিরিয়ানির রূপকার হিসেবেও। লখনৌয়ের নবাব আর নেই। তবে তার প্রপৌত্র তথা নবাব বিরজিস কাদেরের ছেলে সাজ্জাদ আলি মির্জা লখনৌ ঘরানার শেষ ঐতিহ্যকে বহন করছিলেন এতদিন।

বাদশা ওয়াজিদ আলি শাহ ও বেগম হজরত মহলের লখনৌ নবাবি ঘরানার শেষ বংশধর ছিলেন সাজ্জাদ। তাকে যুবরাজ বলেও ডাকতেন পরিবারের লোকজন। তার স্ত্রী বদর-উন-নিশা লখনৌয়ের বিখ্যাত খানদানি ঘরানার মেয়ে। সাজ্জাদ ও বদরের দুই ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। তার এক মেয়ে ফজল নাকভি পেশায় লেখিকা। এক সপ্তাহ আগেই করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছিল সাজ্জাদের। শ্বাসের সমস্যা ছিল তার। সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি থেকে উর্দু নিয়ে ডক্টরেট করেছিলেন তিনি।

ওয়াজিদ আলি শাহের সাহিত্য ও সংস্কৃতির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও ছিল যুবরা সাজ্জাদের উপরেই। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়েতেই উর্দুর শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। অবসর নেন ১৯৯৩ সালে। যুবরাজ সাজ্জাদের পরিবার জানিয়েছে, ২০১৭ সালে শেষবার লখনৌ গিয়েছিলেন তিনি। ওয়াজিদ আলি শাহের বেগম হজরত মহলকে নিয়ে তৈরি ২৬ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারির অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তিনি শেষবার লখনৌ যান। কলকাতার মেটিয়াবুরুজে সিবতাইনাবাদ ইমামবাড়ার ট্রাস্টি ছিলেন সাজ্জাদ। মেটিয়াবুরুজে ওয়াজিদ আলি শাহের সংস্কৃতিকে এগিয়ে যাওয়ার সবরকম উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।



 

Show all comments
  • NM Belal ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৬:৩০ পিএম says : 0
    I am very much sad at the demise of the Prince who had been trying to uphold the Muslim Nobabi heritage in India.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ