ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম কবে শুরু হবে তার সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে পেশাদার লিগ কমিটিকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ক্লাবগুলো এবং ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনার পর নতুন মৌসুম শুরুর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলেও দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করেনি তারা। তবে দলবদল কার্যক্রম কবে শুরু হবে এবং খেলা মাঠে গড়ানোর দিনক্ষণ ঠিক করতে বৃহস্পতিবার এক সভায় বসছে লিগ কমিটি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে বিকেল ৩ টায় শুরু হবে এই সভা। এদিকে নতুন মৌসুম শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বেশ কয়েকটি অমীমাংসিত বিষয় সমাধান করতে হবে লিগ কমিটিকে। ফুটবলাররা দাবি করেছেন করোনাভাইরাসের কারণে পরিত্যক্ত মৌসুমের পাওনা শতভাগ পরিশোধ করে নতুন মৌসুমের ৫০ ভাগ অগ্রিম দিতে হবে তাদেরকে। ক্লাবগুলো পরিত্যক্ত মৌসুমের পাওনা পরিশোধে রাজি হলেও আগামী মৌসুমের চুক্তি অনুযায়ী পরিশ্রমিকের ২০/২৫ ভাগের বেশি দিতে চাইছে না। নতুন মৌসুম শুরুর দিনক্ষণ নির্ধারণের আগে এই বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর পাশাপাশি আছে বিদেশি ফুটবলারের কোটা ও ভেন্যু কমানো। পরিত্যক্ত বিপিএলের খেলা হয়েছিল দেশের ৭ ভেন্যুতে। ক্লাবগুলো ভ্রমণ খরচ ও সময় বাঁচাতে আসন্ন ফুটবল মৌসুমে সর্বোচ্চ চারটি ভেন্যুতে খেলা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ময়মনসিংহ স্টেডিয়াম ও কুমিল্লা স্টেডিয়ামে খেলা হবে নিশ্চিত। যদি ভেন্যু চারটি হয় তাহলে যোগ হবে গোপালগঞ্জ স্টেডিয়াম।

লিগ কমিটির আগের সভায় বেশিরভাগ ক্লাব বিদেশি ফুটবলার ছাড়া নতুন মৌসুমের কথা বললেও লিখিত মতামতে তারা ইউটার্ন দিয়েছে। লিগ কমিটির কাছে ক্লাবগুলো যে লিখিত মতামত দিয়েছে সেখানে বিপিএলের ১৩ ক্লাবের মধ্যে ৮টিই চেয়েছে বিদেশিসহ মৌসুম। সাইফ স্পোর্টিং ও উত্তর বারিধারা ক্লাব বিদেশি ছাড়া লিগের পক্ষে। আর লিগ কমিটি লিখিত প্রস্তাব চাইলেও তিনটি ক্লাব তার দেয়নি। এরা হলো- মোহামেডান, ঢাকা আবাহনী ও চট্টগ্রাম আবাহনী। গতকাল পর্যন্ত এই তিন ক্লাবের প্রস্তাবনা জমা পড়েনি লিগ কমিটির কাছে। তবে ঢাকা আবাহনী লিগ কমিটিকে জানিয়েছে, তারা সভায় বিস্তারিত জানাবে।