পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু ঢাকার বাইরের প্রকল্পের অফিস ঢাকায় থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সড়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, পুরো ঢাকা শহর জুড়ে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
এসবের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? যেখানে যাই সেখানেই সড়কের অফিস, প্রকল্পের অফিস। বেইলি রোড, বনানী, গুলশান, বনানী কবরস্থানের পাশে, শ্যামলী, মিরপুর, কত প্রয়োজন? তাহলে আলাদা করে সড়ক ভবন কেন? ভবিষ্যতে প্রকল্প গ্রহণের সময় অফিসসহ অন্যান্য স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখতে হবে। গতকাল ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন। এ সময় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তিনি উদ্বোধন করলেও কাক্সিক্ষত গতি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ও সউদী সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। প্রায় সোয়া এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর সঙ্গে দুই কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে। সউদী ফান্ডের অর্থ ছাড়ে বিলম্বসহ করোনা মহামারি এবং অন্যান্য কারণে প্রকল্পটির ধীরগতি রয়েছে। আশা করবো শম্বুক গতিতে পেয়ে বসা এ সেতুর নির্মাণকাজ এখন গতি পাবে।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা ঢাকায় কেন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অধিকাংশই ঢাকায় অফিস করেন। সেতু নির্মিত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে আর প্রকল্পের অফিস কেন ঢাকায়? এটিও প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বিত হওয়ার একটি কারণ। আমি আগেও বলেছি আজও বলছি। প্রকল্প এলাকায় অফিস থাকবে, ঢাকায় নয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৈরিতার বিপরীতে গড়ে তুলেছে আস্থার সম্পর্ক। ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে দু’দেশ একে অপরের সহায়ক। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় যৌথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার ৬৫তম জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৭৫ পরবর্তী দুঃসময় ও সঙ্কটে শেখ রেহেনা পর্দার অন্তরালে থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলেন। শেখ রেহানা কখনো পাদপ্রদীপের আলোয় আসেননি। শেখ রেহানার ৬৫তম জন্মদিনে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।