নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ব্যালট পেপারে ঠিকই নাম থাকছে বাফুফের বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি বাদল রায়ের। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ সেপ্টেম্বর (শনিবার) নিজের প্রার্থীতা তুলে নিলেও নির্দিষ্ট সময়ের পরে বাদল রায়ের আবেদন পৌঁছে বাফুফে ভবনস্থ নির্বাচন কমিশনে। ফলে নির্বাচনী বিধিমালায় অনুযায়ী তার প্রার্থীতা বাতিল হচ্ছে না। তথ্যটি রোববার জানান বাফুফে নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন। এদিন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও ব্যালট নম্বর প্রদানের পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখী হয়ে বলেন,‘নির্দিষ্ট সময়ের পর প্রত্যাহার করলেও ফিফা ও বাফুফের নির্বাচন বিধিমালায় বাদল রায়ের প্রার্থীতা বাতিল হচ্ছে না। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও নির্বাচনী ব্যালটে সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে নাম থাকছে তার। মোদ্দাকথা নির্বাচনে বাদল রায় থাকছেন।
ফলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহরের শেষ দিনে সদস্য পদে দু’জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বাফুফের নির্বাচনে এখন ভোট করবেন ৪৭ জন। ব্যালট পেপারের নম্বর অনুযায়ী সভাপতি পদে প্রার্থী কাজী মো. সালাউদ্দিন (১), বাদল রায় (২) ও শফিকুল ইসলাম মানিক (৩), সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবদুস সালাম মুর্শেদী (১) ও শেখ মো. আসলাম (২) এবং সহ-সভাপতি পদে আমিরুল ইসলাম (১), এসএম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান (২), কাজী নাবিল আহমেদ (৩), তাবিথ আউয়াল (৪), মহিউদ্দিন আহমেদ (৫), আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক (৬), ইমরুল হাসান (৭) ও শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসানের (৮) নাম রয়েছে। বাংলা বর্ণমালার ক্রমানুসারে দেয়া হয়েছে এই ব্যালট নম্বর। সদস্য পদের প্রার্থী ৩৪ জনের ব্যালট নম্বরও দেয়া হয়েছে এই ক্রমানুসারে।
বাদল রায়ের মনোনয়ন প্রত্যাহার প্রসঙ্গ মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘শনিবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে আমাকে ফোন করেছিলেন বাদল রায়। তার ১০ মিনিট আগেই সময় পার হয়ে গেছে। তাই আমি বাফুফে সাধারণ সম্পাদককে বাদলের প্রত্যাহারের আবেদনটি রাখতে বলেছিলাম। আজ (রোববার) আমরা নির্বাচন কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। তবে বাফুফের নির্বাচন বিধিমালার ৬.১১ ধারা এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার নির্বাচনী বিধিমালার ৬-এর এ,সি,ডির ধারায় নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। বাফুফের কংগ্রেসে এই বিধিমালা অনুমোদিত। সেই হিসেবে বাদলের প্রার্থীতা থাকছে নির্বাচনে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘একজন প্রার্থী সরে গেলে নির্বাচনের আগের দিনও যেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে বিষয়টি দেখবেন ভোটাররা। ভোট হচ্ছে ভোটার ও প্রার্থীর মধ্যে যোগাযোগ। বাদল রায়ের ঘোষণা সব ভোটাররাই জেনেছেন আশাকরি। তবে নিয়মের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই আমাদের। তাই ব্যালট পেপারে বাদলের নাম আমাদের রাখতেই হয়েছে।’
আগামী ৩ অক্টোবর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের এবারের নির্বাচন। নির্বাচনে ১৩৯ জন কাউন্সিলর নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বেছে নেবেন বাফুফের আগামী চার বছরের নেতৃত্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।