বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে যত্রতত্র পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ব্লক, কংক্রিট, ইট, সুরকি ও গাছের গুড়ি এখন পর্যটকদের কাছে বিপদজ্জনক। জোয়ারের সময় পর্যটকরা সমুদ্রে গোসলে নামলে প্রতিনিয়ত দুঘর্টনার কবলে পড়েন। সৈকতে ওঠা-নামার সম্মুখভাগ জিরো পয়েন্টসহ প্রায় ১শ’ মিটার বেলাভূমিতে এখন এ দৃশ্য বিরাজমান। দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি ও পৌরসভার এগুলো অপসারণের কথা থাকলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। ঝুঁকিপূর্ণ জোনটিতে কোন প্রকার সতর্কতামূলক বা নির্দেশনামূলক চিহৃ না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগত পর্যটকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রচন্ড ঢেউয়ের ঝাপটায় বালু ক্ষয়ে সম্প্রতি বালুর ওপর জেগে ওঠে পরিত্যক্ত ব্লক, কংক্রিট, ইট, সুরকি ও গাছের গুড়ি। ঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ঢেউয়ের তান্ডবে উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ। গাছ অপসারণ হলেও গুড়িগুলো পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। এতে পর্যটকদের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা সৈকতের প্রবেশদ্বারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের অর্থায়নে বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্ট কাম রেস্ট হাউস ২০০৭ সালের নভেম্বরে সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। পরে এলজিইডি ওই ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি নিলামে বিক্রি করে দেয়। এ ভবনটির বেশ কিছু ভাঙা অংশ সৈকতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এর ফলে সৈকতে পর্যটকরা নির্বিঘ্নে হাটাচলা করতে পারছে না।
প্রতিনিয়তই আঘাত পাচ্ছে পর্যটকরা এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। ফটোগ্রাফার রুবেল জানান, পর্যটকদের এমন বিড়ম্বনা থেকে নিস্তার দিতে তারা নিজেদের উদ্যোগে ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বাঁশ পুতে লাল কাপড় টানিয়ে দিয়েছিলেন। প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে তা এখন আর নেই।
পর্যটক ফারজানা বলেন, জোয়ারের সময় সৈকতে গোসল করতে গিয়ে কংক্রিটের ভাঙা অংশে ডান পা কেটে গেছে। পাঁচ দিনের ট্যুরে এসে আহত হয়ে ওইদিনই পরিবারের কাছে ফিরতে হয়েছে। তবে পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রেখেই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন।
ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) এর সেক্রেটারি জেনারেল মো. আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, সৈকতের সম্মুখভাগে পড়ে থাকা কংক্রিট খন্ডগুলো প্রমাণ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন পর্যটকবান্ধব নয়। জোয়ারের সময় সমুদ্রে গোছল করতে নেমে প্রতিদিনই কোন না কোন পর্যটক আহত হচ্ছেন। এছাড়া যত্রতত্র পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ব্লক, কংক্রিট, ইট, সুরকি ও গাছের গুড়ি সৈকতের সৌন্দর্য নষ্ট করছে। এগুলো অপসারণের দাবি জানান তিনি।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, অবিলম্বে সৈকতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কংক্রিট খন্ডগুলি সরানোর পদক্ষেপ নেয়া হবে। গত বছর কিছু ভাঙা অংশ অপসারণ করেছিলাম, চলতি বছর আবারও বালুর নিচের চাপা পড়া কংক্রিট ও ব্লক ক্ষয়ে বেলাভূমিতে জেগে উঠেছে।
কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কলাপাড়া নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক জানান, পর্যটকদের সমস্যা নিরসনে পড়ে থাকা ওইসব কংক্রিট ও ব্লকগুলো পাউবোর সাথে কথা বলে অচিরেই অপসারণ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।