নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অসুস্থ্যতার কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সভাপতি প্রার্থী ও বাফুফের বর্তমান কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি বাদল রায়। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে শনিবার নিজের জমা দেয়া ফরম তুলে নেন সাবেক এই তারকা ফুটবলার। অথচ মনোনয়নপত্র উত্তোলন করে জমা দেয়ার পর বাদল বলেছিলেন, শেষ পর্যন্ত লড়াই করবেন তিনি।
প্রায় ৬ মাস আগে সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বাফুফের তিনবারের নির্বাচিত সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে জানিয়েছিলেন যে, আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হবেন না। রুহুল আমিনের এমন ঘোষণার পর বাদল রায় বলেছিলেন, তিনিই সভাপতি পদে দাঁড়াবেন। এক সংবাদ সম্মেলনে বাদল বলেছিলেন, ‘কাজী সালাউদ্দিনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সভাপতি হতে দেয়া যাবে না। সভাপতি পদে কেউ না দাঁড়ালে আমিই এই পদে নির্বাচন করব।’ বাদল রায়ের এই ঘোষণায় নড়েচড়ে বসে সালাউদ্দিন বিরোধীরা। তারা আশায় বুক বাঁধে এবার বুঝি বাফুফেতে সালাউদ্দিনযুগের অবসান ঘটবে!
গত এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাফুফে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে এর প্রায় সাড়ে ৬ মাস পর করোনাকালেই নির্বাচনের নতুন দিনক্ষণ নির্ধারিত হলে ফুটবল সংগঠকরা সরব হয়ে ওঠেন। ৩ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা পর বাফুফের নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। এই উত্তাপ আরও বেড়ে যায় ৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিনে। সালাউদ্দিনকে চতুর্থবার সভাপতি হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে আগের ঘোষণামতে এদিন সভাপতির মনোনয়নপত্র তুলেন সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়। তার সঙ্গে যুক্ত হয় আরেক সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের নামও। শেষ দিনে মানিক, বাদল ও সালাউদ্দিন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলে নির্বাচনী হাওয়া আরও গরম হয়। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে এবার বুঝি ত্রিমুখী লড়াই হবে। কিন্তু না, তার আর হলনা। বাদল নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে এখন সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে নির্বাচনী মাঠে আছেন মানিকই।
শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় থাকলেও এক ঘন্টা পর বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি দিয়ে যান বাদল রায়ের স্ত্রী মাধুরী রায়। নির্ধারিত সময়ের পর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় তার সেই আবেদন গ্রহণ করা হবে কি না, তা নিয়ে রোববার সিদ্ধান্ত হবে বাফুফের নির্বাচন কমিশনে।
তবে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক জানান, বিকেল ৫টার আগেই বাদল রায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিনকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি নিয়ে বাফুফে ভবনে যাচ্ছেন তার স্ত্রী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফোন করে প্রত্যাহার করার কথা জানানোর ফলে ব্যালট পেপারে বাদল রায়ের নাম না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। শেষ দিনে বাদল রায় ছাড়াও সদস্য পদে নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন উত্তর বারিধারা ক্লাবের কাউন্সিলর জাকির হোসেন বাবুল ও উত্তরা আজমপুর ফুটবল ক্লাবের কাউন্সিলর সাইদুর রহমান মানিক। মানিক নিজে বাফুফে ভবনে এসে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও বাবুলের প্রতিনিধি হিসেবে জাহাঙ্গীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চিঠি দিয়ে যান নির্বাচন কমিশনে।
তিনটি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হওয়ার ফলে এখন বাফুফে নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে মোট ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ২, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ২, সহ-সভাপতি পদে ৮ এবং সদস্য পদে ৩৪ জন প্রার্থী হয়েছেন। আজ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও ব্যালট নম্বর প্রদান করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩ অক্টোবর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের এবারের নির্বাচন। নির্বাচনে ১৩৯ জন কাউন্সিলর নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। বেছে নেবেন বাফুফের আগামী চার বছরের নেতৃত্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।