পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকা থেকে ফুল বিক্রেতা জিনিয়াকে (৯) অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার প্রতারক নূর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদারকে (৪২) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর লুপাকে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে গতকাল তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষ বিচারক জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে জিনিয়াকে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে অপরিচিত দুজন নারীর সঙ্গে ফুচকা খেতে দেখেছিলেন তার মা সেনুরা বেগম। এরপর থেকে জিনিয়ার হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে তিনি শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় অপহরণের মামলা করেন তিনি। এ মামলার পর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জিনিয়াকে উদ্ধার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় নূর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদারকেও (৪২) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ সময় তিনি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। লোপা ও তার মেয়ে নদী তালুকদার মিলে ফুলবিক্রেতা শিশু জিনিয়াকে অপহরণ করে বলে জানায় তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। তবে লোপা গ্রেফতার হলেও নদী এখনো পলাতক। বহুরূপী নারী লোপা সম্পর্কে রয়েছে নানা অভিযোগ। অসামাজিক কার্যকলাপ, অপহরণকারী চক্রের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, সরকারি দলের নেত্রীসহ নানা পরিচয় ব্যবহার করে এই নারী জড়িয়েছে নানা অপকর্মে। এছাড়া চাকরি, বদলির তদবির থেকে শুরু করে নিজের অনুমোদনহীন নামসর্বস্ব টিভি চ্যানেলে চাকরি দেয়ার নামে লুটে নিয়েছেন বিপুল পরিমান টাকা। তার যোগাযোগ ছিল শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালীদের সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তার বিভিন্ন ছবি। প্রভাবশালী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে ছবি রয়েছে তার। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব ছবি ও নানা মিথ্যা পরিচয় ব্যবহার করে অপকর্ম করতো লোপা তালুকদার। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে নয় বছরের শিশু জিনিয়াকে অপহরণ করার নেপথ্যে কী ছিল এ বিষয়ে লোপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করলেও শিশুটিকে লালন পালন করার জন্যই নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করছে লোপা। যদিও জিনিয়াকে অপহরণ করে কথিত এক বোনের বাসায় রেখেছিল লোপা। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা, লোপা নারী ও শিশু পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্য।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার পরিচয় দেয়া রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক। কথিত অগ্নি টিভি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এই টিভি’র নামে একটি অফিসও নিয়েছে বাংলামোটর এলাকায়। একইভাবে লোপার মেয়ে নদী তালুকদারও ওই নামসর্বস্ব টিভি’র পরিচালক, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও কোরিওগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।