পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পিছিয়ে নেই সবজিও
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজ ও ব্রয়লার মুরগির দাম, পিছেয়ে নেই সবজিও। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা আর ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন, এর উত্তর তাদের জানা নেই। বেশি দামে তাদের কিনতে হয় বলে বেশি দামে বিক্রয়ও করা লাগে। অন্যদিকে মুরগির বিষয়ে তাদের যুক্তি কোরবানির কারণে মুরগির দাম এতদিন কম ছিল। এখন চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতারা বলছেন, দাম বাড়ছে কেন সে বিষয়ে আমদানিকারক বা গুদামজাতকারীরা বলতে পারবে। প্রায় দুই মাস ধরে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছিল ৩৫-৪০ টাকা। তবে ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে- এমন সংবাদে হুট করেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে এখন দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। অথচ ১০ থেকে ১৫ দিন আগেও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। গত বছর ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, এ বছর যেন সেরকম পরিস্থিতি না হয় সেজন্য রেকর্ড পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে টিসিবির মাধ্যমে রোববার থেকে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হবে।
অন্যদিকে বাজারে বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। তার আগে ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গতকাল ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করেছি ১৩০ টাকা। আজ পাইকারি বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকার ওপরে বেড়েছে। ফলে ১৪৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ছে। তবে দাম বাড়লেও ব্রয়লার মুরগি এখন আগের চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে তারা দাবি করেন। তারা আরো জানান, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সামনে দাম আরও বাড়বে। এতদিন মানুষ কোরবানির গোশত খেয়েছে। এখন তা শেষ হয়ে গেছে। এখন সবাই মুরগি বেশি কিনছে। ফলে দাম বাড়তি।
এদিকে সব ধরনের সবজির দাম এখনো বেশ চড়া। শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮০-২২০ টাকা। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা।
গাজর আগের মতই বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। উস্তার কেজি ৭০-১০০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। পটলের দাম কিছুটা কমে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। দাম কমার তালিকায় থাকা কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা।
বেগুন গত সপ্তাহের মতো ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস। কাঁচা মরিচের ঝাল আগের মতই কড়া। ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, সামনে শীতের সবজির সরবারাহ বাড়লে সব ধরনের সবজির দামই কমবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।