Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্রুনাইতে মানবপাচারকারী হোতা মেহেদী গংদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে

মানববন্ধনে-প্রতারণার শিকার প্রবাসী কর্মীরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:২৯ পিএম

ব্রুনাইতে মানবপাচারকারী গডফাদার মেহেদী হাসান বিজন গংদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। মানবপাচারকারীরা বিমান বন্দরে বডি কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে নিরীহ কর্মীদের ব্রুনাইতে ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে পাচার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ব্রুনাইতে এসব প্রতারক চক্রের কোনো কেম্পানির বা কোনো কাজ নেই। এরা শুধু ভিসা বিক্রি করে এবং দেশটিতে যাওয়ার পর এদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। এই চক্রের হোতা মেহেরপুরের মেহেদী হাসান বিজন, দোহারের আব্দুর রহিম, মুন্সিগঞ্জের ইলিয়াস মাঝি এবং ইসিমাইল সর্দার, গরু শাহীন, আবদুল্লাহ আল মামুন অপুসহ ২০/২৫ জনের একটা বিশাল গ্যাং। এসব মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ১৯ টি মামলা দায়ের করার পরেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এসব চক্র ব্রুনাইতে কর্মীদের পাঠানোর পর পাসপোর্ট নিয়ে যায় এবং কোন কাজ দেয় না। কাজ ও পাসপোর্ট চাইলে নির্যাতন করে। এমনকি পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। প্রতারণার শিকার অসহায় কর্মীদের অনেকেই নিঃস্ব হয়ে দেশে ফিরে এসেছে। করোনা মহামারির সময়ে চড়া সুদের ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে না পেরে ব্রুনাই প্রত্যাগত এসব অসহায় কর্মীরা বাড়ী ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতারণার শিকার ব্রুনাই ফেরত অসহায় কর্মীরা মানবপাচারকারী দালাল চক্রের হোতা মেহেদীসহ চিহ্নিত দালালদের গ্রেফতারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন। প্রত্যাগত প্রবাসী কর্মী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আতিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন, খাদেমূল মন্ডল, নজরুল ইসলাম, মোফাজ্জেল, ইবরাহিম, করিম, মো. ফরিদ ও কোরবান আলী।

প্রত্যাগত কর্মীরা বলেন, প্রতারণার শিকার অনেকেই এখন ব্রুনাইতে আটকা পড়ে আছে। তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকায় তারা দেশে ফিরতে পারছে না। অবৈধ হওয়ার কারণে ব্রুনাই পুলিশ এখন তাদের খুঁজছে। কেউ কেউ মালেশিয়ার সারওয়াকে পাচার হয়েছে। তারা বেলেন, কুখ্যাত মানবপাচারকারী মেহেদী, রহিম, সাইফুল এবং ইলিয়াস গংদের বিরুদ্ধে ১৯ টি মামলা দায়ের করার পরেও তারা প্রভাবশালী মহলের মদদে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এসব মামলার এজাহারভুক্ত ১ নং আসামী মেহেদী হাসান বিজনকে আজ পর্যন্ত পুলিশ ধরেনি। মেহেদী হাসান প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে ছবি তুলে থানা পুলিশকে ভয় দেখিয়ে বেড়াচ্ছে। মানবপাচাকারীদের আশ্রয় দেয়া প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। মেহেদী দেশের ভিসা ব্যবসা টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সে দেশ জাতি ও প্রবাসী শ্রমিকদের শত্রু। মানববন্ধনে কতিপয় দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, ব্রুনাই থেকে কালোতালিকার সকল ভিসা ও মানবপাচারকারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে। থানায় দায়েরকৃত মানবপাচার মামলায় আসামীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে, প্রতারিত প্রবাসী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, মানবপাচারের সাথে জড়িত বিমান বন্দরের কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং মানবপাচারের সাথে জড়িত ট্রাভেল এজেন্সির দালালদের আইনের আওতায় আনতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ