Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

তালেবানকে শান্তির বিনিময়ে সড়ক নির্মাণের প্রস্তাব চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৪৫ পিএম

মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবানরা যদি আফগানিস্তানে শান্তি নিশ্চিত করতে পারে তাহলে সেখানে একটি সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে চীন। দিয়েছে। ছয়-লেনের ওইসব হাইওয়ে নির্মাণ হয়ে গেলে আফাগানিস্তানের অর্থনীতি বিকশিত হবে। তালেবানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানের দুজন সিনিয়র উপজাতীয় নেতা এ কথা জানিয়েছেন।

গত তিন মাস ধরে তালেবানদের সাথে বেইজিংয়ে আলোচনা চলছে বলে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশের উপজাতীয় নেতারা জানিয়েছেন। সেখানে চীনা কূটনীতিকরা আফগানিস্তানের জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে বিপুল অংকের বিনিয়োগ প্রস্তাব করেন। এক নেতা বলেন, চীনা কর্মকর্তারা আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তালেবানদের বলেছেন এবং বলেছেন যে সেখানে সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে চীন বিনিয়োগ শুরু করবে। তিনি বলেন, চীন ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো জ্বালানি প্রকল্প ও পরে আফগানিস্তানের মধ্য দিয়ে মধ্য এশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস পরিবহন প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে। আফগানিস্তানে কয়েক মাস কাটিয়ে গত আগস্টে বালুচিস্তান ফিরে আসা দ্বিতীয় উপজাতীয় নেতা বলেন, আফগানিস্তানের প্রধান নগরীগুলোর মধ্যে সংযোগস্থাপনাকারী মটরযান চলাচলের উপযোগী সড়ক নির্মাণের অঙ্গীকার করেছে চীন। তিনি বলেন, চীনারা গোটা আফগানিস্তানে সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরির প্রতিশ্রুতি

ট্রাম্প প্রশাসন সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পর থেকেই চীনা কর্মকর্তারা তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে পাকিস্তান সরকারের এক সিনিয়র কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করে যুক্তরাষ্ট্র। সিঙ্গাপুরভিত্তিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জেমস ডোরসে বলেন, চীনারা অনেক আগ বাড়িয়ে আফগানিস্তান নিয়ে চিন্তা করছে এবং ভবিষ্যতের ভিত্তি তৈরি করছে। তিনি বলেন, চীনারা তাদের সীমান্ত লাগোয়া দেশটির ব্যাপারে আগ্রহী এবং চীনের সার্বিক স্বার্থের সঙ্গে আফগানিস্তান খাপ খেয়ে যায়।

বন্দি বিনিময় নিয়ে মতবিরোধের কারণে কাবুল ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হতে বিলম্ব ঘটছে। গত জুলাইয়ে চীন, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে এক কৌশলগত সংলাপের পর দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান যে যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে আফগানিস্তানে সম্ভাব্য সন্ত্রাসীদের পুনরুত্থান ঘটতে পারে। পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এক কর্মকর্তা পেশোয়ার থেকে এই পত্রিকাকে বলেন, চীনের সংশ্লিষ্টতা এই কট্টর গ্রুপটিকে শান্তির পথে চালিত হয়ে সাহায্য করেছে। আফগান তালেবানের সঙ্গে পাকিস্তানি নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে তারা তালেবানকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের শান্তিচুক্তি সম্পাদনেও পাকিস্তান সাহায্য করে।

ওই সাবেক পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, অর্থনৈতিকভাবে পুনরুজ্জীবিত আফগানিস্তানের সুফল কি হবে তা চীনারা বারবার তালেবানকে বুঝিয়ে। চীনারা যত জোরালোভাবে এটা বুঝাতে পেরেছে তা আর কেউ পারেনি। তিনি বলেন, তালেবানরা শুধু আর্থিক সহায়তার জন্যই নয়, আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্যও চীনের সক্ষমতা স্বীকার করে। সূত্র: এসএএম।



 

Show all comments
  • Jack Ali ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:১২ পিএম says : 0
    When Taliban used to rule by the Law of Allah [SWT] -- there was peace all over the Afghanistan except Northern Alliance who used to get all the Support from Iran and Russia to fight the Taliban.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ