পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে তালিকাভুক্তি প্রত্যাহারের জন্য পরামর্শ চেয়ে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন-এর কাছে চিঠি দিয়েছে বেক্সিমকো সিনথেটিকস। বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চিঠি পেয়ে গত সোমবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যাতে কোনভাবেই কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে কারসাজি না হয় সে জন্য গতকাল মঙ্গলবার থেকে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেয় ডিএসইকে। আর তাই নির্দেশ পেয়ে গতকাল বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানিটির লেনদেন বন্ধ করে দেয় ডিএসই। ডিএসই জানিয়েছে, তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো সিনথেটিকসের শেয়ার লেনদেন বন্ধ রাখতে গত সোমবার বিএসইসি থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওই নির্দেশনা মেনে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
বেক্সিমকো সিনথেটিকসের ডিএসই ও সিএসই থেকে তালিকাভুক্তি প্রত্যাহারের বিষয়ে কোম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের অবগতির জন্য পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে একটি প্রেস রিলিজ পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ।
এতে বলা হয়েছে, বেক্সিমকো সিনথেটিকস লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডারদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, ড্রন টেক্সাচারাইজিং ইয়ার্ন (ডিটিওআই) নামে এক ধরনের পলিয়েস্টার সুতা উৎপাদন ও বিক্রির জন্য কোম্পানিটি ১৯৯০ সালের ১৮ জুলাই ‘যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর’-এ পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ১৯৯৩ সালের ৪ নভেম্বর ও ৬ নভেম্বর যথাক্রমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির কার্যক্রম ছিল একক পণ্য অর্থাৎ ডিটিওয়াই ঘিরে। তবে তখন ডিটিওয়াই-এর ব্যাপক চাহিদা ছিল, তাই কোম্পানিটিও ভালো মুনাফা অর্জন করে এবং ১৯৯৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ ১৮ বছর ধরে বিরতিহীনভাবে নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান করে। তবে ২০১৩ সালের পর থেকে কোম্পানি কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারেনি। তখন থেকে কোম্পানি খুবই কঠিন সময় পার করতে থাকে। ডিটিওয়াই আমদানির ওপর সরকার শুল্ক হ্রাস করায় বারবার কোম্পানির ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে থাকে।
শুল্ক হ্রাসের কারণে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সস্তা ডিটিওয়াই বাজার দখল করে। ফলে বাংলাদেশে এই ধরনের সুতা উৎপাদন করে মুনাফা অর্জন অসম্ভব হয়ে পড়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গত ৭ বছর ধরে সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্তে¡ও কোম্পানি লক্ষ্যমাফিক উৎপাদন বা মুনাফা অর্জন করতে পারেনি। এতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি হয় কোম্পানিটির। এ কারণে গত কয়েক বছর ধরে কোম্পানির শেয়ার অভিহিত মূল্যের চেয়েও কম দরে কেনাবেচা হয়ে আসছে।
অবশেষে, কোম্পানি উৎপাদন কার্যক্রম ও কারখানা বন্ধে বাধ্য হয়। আইনানুযায়ী সকল দেনা পরিশোধের পর সকল শ্রমিক এবং বেশিরভাগ কর্মকর্তা ও স্টাফকে ছাঁটাই করে।
এমতাবস্থায়, অত্যন্ত কষ্টকর হলেও অন্য কোনো বিকল্প না থাকায়, পরিচালনা পরিষদ মনে করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ কোম্পানির তালিকাভুক্তি প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত। যেহেতু স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে কোনো কোম্পানির তালিকাভুক্তি বাতিলের বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বিধিবিধান নেই, তাই এই বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন-এর কাছে চিঠি লিখেছে কোম্পানি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।