পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম নগরীর সড়কের ১৭০ কিলোমিটার বিধ্বস্ত। খানাখন্দে ভরা প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি। কোন কোন সড়ক রীতিমত গ্রামীণ রাস্তার রূপ ধারণ করেছে। সড়কে নেমেই দুর্ভোগে পড়ছে নগরবাসী। সড়কে গর্তে আটকা পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজট। স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রফতানি পণ্য ও মালামাল পরিবহন।
জোয়ার ও টানা বৃষ্টি এবং করোনাকালে নিয়মিত সংস্কার বন্ধ থাকায় বন্দরনগরীর সড়কের এ বেহাল দশা। দ্রæত সড়ক সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তবে অর্থের অভাবে জরুরি সংস্কার কাজ থমকে গেছে। যদিও সিটি প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলছেন, টাকার জন্য কাজ বসে নেই। নগরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে ভাঙা সড়ক মেরামত চলছে।
মহানগরীর ব্যস্ততম প্রধান সড়কের বন্দর-ইপিজেড এলাকায় সিডিএর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ চলছে। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ইপিজেড পর্যন্ত সড়কের দুইপাশের বেহাল অবস্থা। তীব্র যানজটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্থবির হয়ে থাকছে বন্দর-পতেঙ্গা ও ইপিজেড এলাকা। বিঘিœত হচ্ছে বন্দর ও দুটি ইপিজেডের আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহন।
নগরীর প্রধান সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশে সংস্কার কাজ চলছে। দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের সংযোগ সৃষ্টিকারী পোর্ট কানেকটিং রোডে অচলাবস্থা চলছে প্রায় অর্ধযুগ ধরে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে হালিশহর থেকে সাগরিকা পর্যন্ত অংশে এখনও কাজ শেষ হয়নি। ওই সড়কে বড় বড় গর্ত ডোবার আকার নিয়েছে। সংস্কার কাজ শেষ হতেই আবার খানাখন্দে বেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের। কাস্টম ব্রিজ থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট পর্যন্ত টোল রোডের অবস্থাও এখন বেহাল।
সংস্কার কাজ চলছে টাইগার পাস থেকে আমবাগান হয়ে পাহাড়তলী পর্যন্ত সড়কে। একই অবস্থা মাঝিরঘাট সড়ক, বায়েজিদ বোস্তামী সড়ক ও বহদ্দারহাট থেকে কাপ্তাই রাস্তার মাথা হয়ে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কে। নগরীর বারিক বিল্ডিং থেকে আগ্রাবাদ হয়ে লালখান বাজার, জিইসি মোড়, ষোলশহর, বহদ্দারহাট, নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, পাঠানটুলী রোড, হালিশহর রোড, চকবাজার, আইস ফ্যাক্টরী রোড, জাকির হোসেন রোড, ওআর নিজাম রোড থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
সড়ক জুড়ে বড় বড় গর্ত। সিটি কর্পোরেশনের কর্মী ও ঠিকাদারের লোকজন ইট-কঙ্কর ফেলে এসব গর্ত ভরানোর চেষ্টা করছেন। তবে গাড়ির চাকায় উঠে আসছে ইট-কঙ্কর। রাস্তায় যানবাহন আটকে যানজট হচ্ছে। গাড়ি চলছে হেলেদুলে। সড়কে গতি কমে যাওয়ায় যানজট বিস্তৃত হচ্ছে প্রধান প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত।
সিটি কর্পোরেশনের পাকা সড়ক ৮১৬ কিলোমিটার। কংক্রিট ঢালাই সড়ক ৩২৮ কিলোমিটার, ২৫.৬ কি.মি. ইট বিছানো এবং ২২.৬ কি.মি. কাঁচা রাস্তা রয়েছে। বর্ষায় টানা বর্ষণ আর জোয়ারের পানিতে নগরীর প্রায় ২০ শতাংশ সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিটি সড়ক এবং অলিগলিতে চট্টগ্রাম ওয়াসা পাইপ লাইন স্থাপনের জন্য কাটাকাটি করে। বর্ষার আগে এসব কাটা সড়ক সংস্কার না হওয়ায় বর্ষা শুরু হতেই বৃষ্টিতে বেশিরভাগ সড়কের আস্তর এমনকি ইট পর্যন্ত উঠে গেছে।
বৃষ্টি থামার পর এসব সড়কে সংস্কার কাজ শুরু হয়। নতুন প্রশাসকের দায়িত্ব নেওয়ার দিন থেকে খোরশেদ আলম সুজন প্রতিদিন রাস্তায় নামছেন সংস্কার কাজ তদারক করছেন। কিছু কিছু এলাকায় জরুরি সংস্কারের ফলে সড়কে গর্ত ভরাট হয়েছে। যানবাহন চলাচলও কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে প্রকৌশলীরা বলছেন, রাস্তার যে বেহাল দশা তাতে বড় ধরনের সংস্কার জরুরি। এ সংষ্কার কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
সিটি প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন এ প্রসঙ্গে গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, অর্থের সঙ্কট আছে এ কথা সত্য। তবে ভাঙা সড়কে সংস্কার কাজ থেমে নেই। ঠিকাদারদের অনুরোধ করেছি, নগরবাসীর স্বার্থে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তিনি আশাবাদী খুব শিগগির সড়কের অবস্থা স্বাভাবিক হবে, জনদুর্ভোগ কমে আসবে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ১৭০ কি.মি. বিধ্বস্ত সড়ক মেরামতের জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।