মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী সপ্তাহের শুরুর প্রথমবারের মতো সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে আফগানিস্তানের বিবদমান পক্ষগুলো। মার্কিন মধ্যস্থতায় ‘ইনট্রা-আফগান নেগোশিয়েশনস’ শীর্ষক এই বৈঠকটি কাতারে অনুষ্ঠিত হবে। তালেবানরা শনিবার তাদের ২১ সদস্যের আলোচক দলের নাম ঘোষণা করেছে, যাদের নেতৃত্ব দিবেন মৌলভি আব্দুল হাকিম।
তালেবান প্রধান হিবাতুল্লাহ আখুনজাদার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত কট্টরপন্থী নেতা মৌলভি আব্দুল হাকিম। আফগানিস্তানে তালেবানের কর্তৃত্বাধীন এলাকায় পরিচালিত বিচার ব্যবস্থার প্রধানকে বলা হয় হাকিম। সংলাপে সরকার ও তালেবানদের প্রতিনিধিরা আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারন করবেন। দেশের দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এই সুযোগটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। আলোচনা শুরু করার জন্য দোহা সফরে গিয়েছেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন বিশেষ দূত জালমাই খলিলজাদ।
সংলাপের বিষয়ে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংলাপের জন্য আমরা একটা শক্তিশালী ও সমন্বিত টিম গঠন করেছি। ইসলামিক আমিরাতের (তালেবান) রেহবার-ই শুরা (তালেবান নেতৃত্ব কাউন্সিল) সদস্যরা মূলত এই টিমে রয়েছেন এবং প্রধান বিচারপতিকে এর প্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে।’ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলোচক টিম মূলত স্থায়ী অস্ত্রবিরতি এবং আফগানিস্তানকে শাসনের জন্য ক্ষমতা ভাগাভাগির একটা ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছানোর চেষ্টা করবে।
আফগান অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা মাসতুর শনিবার পাকিস্তান-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আয়োজিত এক অনলাইন ফোরামকে জানান যে, কাবুলের আলোচক টিম ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’। তিনি বলেন, ‘অস্ত্রবিরতির বিষয়টি কাবুলের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু তালেবানদের সাথে প্রথম বৈঠকেই সেটা নাও উঠতে পারে।’ তিনি জানান, প্রথম বৈঠক হবে মূলত একে অন্যের সাথে কুশল বিনিময়। এরপর সহজ ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা শুরু হবে এবং পর্যায়ক্রমে কঠিন ইস্যুগুলো আসবে।
তবে, আফগানিস্তানে নিযুক্ত ন্যাটোর বেসামরিক প্রতিনিধি স্টেফানো পন্টিকর্ভো সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সংলাপটা সহজ হবে না এবং উভয় পক্ষকেই এখানে ‘নমনীয়তা, সৎ বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির’ পরিচয় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আলোচনার এজেন্ডার শুরুতেই সহিংসতার মাত্রা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে নিয়ে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এই প্রক্রিয়ার ফলাফলের ব্যাপারে মানুষের আস্থা তৈরি হয়। টেকসই ফল পেতে হলে মানুষের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ।’
পন্টিকর্ভো উদ্বেগের সাথে বলেন যে, কাবুলের রাজনীতিকদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে রাষ্ট্রীয় আলোচক টিমের কাজের গুরুত্ব কমে যেতে পারে। তিনি বলেন, ‘এতে সন্দেহ নেই যে, আফগান নেতৃবৃন্দের অনৈক্যের বিষয়টি ন্যাটো, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, এবং আমাদের সবার জন্যই উদ্বেগের, কারণ এটা তাদের সমন্বয়ের উপর প্রভাব ফেলবে।’ সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।