Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জমাট বাঁধা সার রিপ্যাকিং

যমুনা সার কারখানা

নুরুল আলম সিদ্দিকী, জামালপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

যমুনা সার কারখানায় বিসিআইসির আমদানিকৃত শত শত মেট্রিক টন ইউরিয়া সার জমাট বেঁধে গেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে খোলা আকাশের নীচে থাকা বিপুল পরিমাণ সার জমাট বেঁধে গুনগতমান নষ্ট হচ্ছে। এসব সার ট্রাক্টর দিয়ে পিষে এবং হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে রিপ্যাকিং করে ডিলাদের চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়ছেন ডিলাররা। টুকরো টুকরো এই সার ব্যবহারে ফসলেও ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা। কর্তৃপক্ষ রিপ্যাকিং করা নিম্নমানের এই সার সরবরাহ বন্ধ না করলে কারখানা থেকে উত্তোলন বন্ধ করতে বাধ্য হবেন বলেও জানান।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের শেষ দিকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে যমুনার সার কারখানার গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ পুড়ে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এক বছরেরও অধিক সময় কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় মজুদ সঙ্কটে পড়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ। জামালপুর, শেরপুর ও টাঙ্গাইল ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার কৃষকদের সার সরবরাহের লক্ষ্যে বিসিআইসির আমদনিকৃত সার যমুনা সার কারখানায় মজুদ এবং এখান থেকে কারখানার কমান্ড এরিয়ার ১৯ জেলার ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা। ডিলারদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ ডিলারদের যমুনার উৎপাদিত ১০ মেট্রিক টন সারের সাথে ২ মেট্রিক টন জমাট বাঁধা রিপ্যাকিং করা নিম্নমানের সার নিতে বাধ্য করেন। এতে ব্যবসাযিক ক্ষতির মুখে পড়েন তারা। শুধু তাই নয় এই ইউরিয়া সার যেসব টুকরো জমিতে ব্যবহার করা হচ্ছে তা ফসলের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বিসিআইসি কর্তৃক আমদানিকৃত যমুনা সার কারখানায় যে সার রক্ষিত রয়েছে তার কিছুটা জমাট বাঁধলেও গুনগত মান ভাল রয়েছে। যদি কোন বস্তায় জমাট বাঁধা ছোট ছোট টুকরো থেকে থাকে তাহলে সেগুলো গুড়া করে ব্যবহারের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন তিনি। এই সার ব্যবহারে ফসলের কোন ক্ষতির সম্ভবনা নাই। কিন্তু জমাট বাঁধা সার ফসলে ব্যবহার করা যাবে না।
যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুদীপ মজুমদার আমদানিকৃত যে সার ডিলারদের সরবরাহ করা হচ্ছে তার গুনগতমান সঠিক রয়েছে দাবি করে বলেন, কিছু সার জমাট বেঁধে গেছে। তা রিপ্যাকিং করে ডিলারদের সরবরাহ করা হচ্ছে। এই সার ব্যবহারে কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যমুনা-সার

৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ