রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
বরিশাল মহানগরীর ভঙ্গুর ও ঝুঁকিপূর্ণ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নগরবাসীর দুর্ভোগ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিনিয়ত নাজেহাল হচ্ছেন নগরবাসী। সুস্থ্য নাগরিক জীবন ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। ঘণ্টায় ৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেও মহানগরীর বেশিরভাগ রস্তাঘাট পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। আরো বেশি বৃষ্টি হলে নগরীর নবগ্রাম রোডসহ কয়েকটি রাস্তায় জাল ফেলে মাছ শিকার করেন হতভাগ্য নগরবাসী। নগর প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে নজর দেয়ার সময় আছে কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন ওঠছে নগরবাসীর মনে। নগর ভবনের কনজার্ভেন্সি শাখার জনবলসহ সরঞ্জামাদির কোন ঘাটতি না থাকলেও সুস্থ্য ও স্বাস্থ্য সম্মত নাগরিক পরিসেবা নিশ্চিত হচ্ছে না। নগর পরিষদের তরফ থেকে সন্ধ্যার পরেই নগরীর রাস্তাঘাট থেকে ময়লা-আবর্জনা পরিস্কারসহ ড্রেনগুলো দিনের বেলা পরিস্কার করার নির্দেশনা থাকলেও এখন সে আলোকে কাজ হচ্ছে না। বিকেল হলেই নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রাইমারি ডাম্পিং পয়েন্টে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ উঁচু হতে শুরু করে। সিটি করপোরেশনের ট্রাকগুলো ময়লা অপসারণ শুরু করে সন্ধ্যার আগে-পড়ে। ফলে অনেক এলাকার রাস্তাঘাট দিয়েই বিকেলে চলাচল দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে পথচারীদের। পেটের খাবার গলা দিয়ে বের হয়ে আসছে।
তবে এর চেয়েও নাজুক পরিস্থিতি নগরীর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায়। এ নগরীর সোয়া ৩শ’ কিলোমিটার ড্রেনের প্রায় পুরোটাই সময়মত পরিস্কার হচ্ছে না। যার মধ্যে প্রায় ২শ’ কিলোমিটার পাকা ড্রেনেরও প্রায় একই অবস্থা। অথচ পাকাড্রেনগুলো পরিস্কার রাখা খুব সহজতর। এর মাধ্যমে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সচল রাখাও কিছুটা সহজতর হলেও মাঝারি বৃষ্টিতেও এ নগরী প্রতিনিয়ত অবরুদ্ধ হচ্ছে। নগরীর নবগ্রাম রোড, ফকিরবাড়ি রোড, বগুড়া রোডসহ আরো কিছু সড়কের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। এসব সড়কের পাশে পাকা ড্রেনের বেশিরভাগই আবর্জনায় পূর্ণ হয়ে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা অবরুদ্ধ।
সাধারণ নগরবাসীর অভিযোগ বেশিরভাগ কাঁচা-পাকা ড্রেনই সময়মতো পরিস্কার হচ্ছে না। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাটগুলো পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। ড্রেনের পানি অপসারণের পথ না থাকায় তা সাধারণ মানুষের ঘরে ঢুকছে। নগরীর নবগ্রাম রোডের পাশে ৮ ফুট প্রশস্ত পাকা ছাউনি যুক্ত ড্রেন থাকলেও সামান্য বৃষ্টিতেই রাজু মিয়ার পোল থেকে সার্কুলার রোডেরমুখ পর্যন্ত পুরো সড়কটি দেড় থেকে ২ ফুট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সদর রোড পর্যন্ত ভারি বর্ষণে পানি আটকে যাচ্ছে। ফকিরবাড়ি রোড, বগুড়া রোড, গোরাচাঁদ দাশ রোডেও পানি থৈ থৈ করে মাঝারি বর্ষণে। এসব সড়কের পাশেও পাকা ড্রেন রয়েছে। প্রতিটি ড্রেনের সাথেই নগরীর পাশে বহমান কির্তনখোলা নদীর সংযোগ থাকলেও তার বেশিরভাগ পথই রুদ্ধ।
গত ৪ আগস্ট ভোর থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় ২ দফায় প্রায় ৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরীর বেশিরভাগ সড়কেই পানি জমে যায়। এমনকি ৪ দিন পরেও নবগ্রাম রোডের পাশের ড্রেনের পানি আটকে ছিল। গত ১৯ আগস্ট থেকে প্রবল বর্ষণ আর কির্তনখোলার জোয়ারে নগরীর প্রায় ৭০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হলেও সে পানিও সময় মতো অপসারণ হয়নি। কিন্তু এরপরেও নগরীর ড্রেনগুলোতে আটকে থাকা আবর্জনা পরিস্কারের উদ্যোগ নেই।
এসব প্রসঙ্গে সিটি করোপরেশনের কনজার্ভেন্সি শাখার দায়িত্বরত প্রাণিসম্পদ চিকিৎসক ডা. রবিউল আলম জানান, সিটি করপোরেশন থেকে সব সময়ই নগরীর ড্রেনসমূহ পরিস্কার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নগর ভবনের চেষ্টা ও আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। তবে এবার কয়েক দফা ভারী বর্ষণে নগরীতে পানি জমে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও তা দ্রুত অপসারণ করা গেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।