মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রতি চীনের গভীর কৌশলগত আগ্রহ রয়েছে, যার ফলে উভয় দেশ যে কোন সমস্যায় একে অপরের পাশে থাকবে। চীনের ‘সামরিক ও সুরক্ষা উন্নয়ন’ শীর্ষক মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এই কথা বলা হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে জমা দেয়া ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং যে দেশগুলোর সাথে ‘দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক’ উভয় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করতে চায়, তাদের মধ্যে পাকিস্তান অন্যতম। চীন সম্ভবত পাকিস্তানে সামরিক ঘাঁটি বানানোর কথা বিবেচনা করেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, বেইজিং ও ইসলামাবাদ উভয়েই ‘ভিত্তিহীন’ বলে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
পেন্টাগন বলেছে যে, বেইজিং তার কৌশলগত লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য সামরিক কার্যক্রমের রূপরেখা বর্ণনা করে যে কয়েকটি দেশে ‘প্রচারণা চালিয়েছে’ তাদের মধ্যে পাকিস্তানও রয়েছে। এই প্রচারের অংশ হিসাবে, চীন রাশিয়া, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রাষ্ট্রগুলোর সংগঠন (আসিয়ান) এর সাথে ‘দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপাক্ষিক’ সম্পর্কে জড়িত হতে চাইছে। যাতে তারা ‘বিদেশী’ শক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে অভিযান আয়োজন ও পরিচালনা করার দক্ষতা উন্নত করতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, চীনের স্ট্র্যাটেজিক সাপোর্ট ফোর্স (এসএসএফ) নামিবিয়া, পাকিস্তান এবং আর্জেন্টিনাতে ট্র্যাকিং, টেলিমেট্রি এবং কমান্ড স্টেশন চালায়। পেন্টাগনের দাবি, পাকিস্তানে চীনের ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড (ওবিওআর) প্রকল্পগুলি পাইপলাইন এবং বন্দর নির্মাণের সাথে জড়িত, যার মাধ্যমে জ্বালানি সম্পদ পরিবহনের জন্য মালাক্কা প্রণালীর মতো কৌশলগত পয়েন্টগুলোর উপরে চীনকে আর নির্ভর করতে হবে না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তাজিকিস্তানের সাথে চীনের সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা সম্ভবত ২০১৬ সালের আগস্টে আফগানিস্তান, চীন, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের মধ্যে চতুর্ভুজ সন্ত্রাসবিরোধী সমন্বয় ব্যবস্থা তৈরির সাথে জড়িত। এই ব্যবস্থার অধীনে, চারটি দেশ যৌথভাবে চীনের বর্ণিত তিন ‘কুফল’, সন্ত্রাসবাদ, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সীমান্ত সুরক্ষা জোরদার করতে সম্মত হয়েছিল।
কিন্তু, ফোর্বস ম্যাগাজিনের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গোয়েদার বন্দর উন্নয়নে চীনের বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক আগ্রহ রয়েছে। তবে তারা বন্দর নগরীতে সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলছে এমন প্রস্তাব দেয়ার কোনও প্রমাণ নেই। ফোর্বসের প্রতিবেদনের লেখক এইচ আই সুতন পেন্টাগনের প্রতিবেদনের বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন যে, গোয়েদার বন্দর বেইজিংয়ের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি রাস্তা ও রেলপথের মাধ্যমে চীনের সাথে যুক্ত একটি বন্দর হিসাবে সুবিধা প্রদান করবে, যার ফলে মালাক্কা প্রণালীর উপর থেকে তাদের নির্ভরতা কমে যাবে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।