Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যুদ্ধে ভারতের জেতার আশা নেই, হুমকি চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৭:৩৫ পিএম

চীন ও ভারতের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমার কোন সম্ভাবনাই আপাতত দেখা যাচ্ছে না। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ব্যর্থ হয়েছে। এর জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করেছে চীন। তাদের দাবি, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হলে ভারত যেন কোনওভাবেই জেতার আশা না করে।

শনিবার চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভারত ও চীন, দুজনেই পরমাণু শক্তিধর দেশ। কিন্তু যুদ্ধ হলে চীনের কাছে পরাস্ত হওয়া ছাড়া ভারতের সামনে আর কোনও রাস্তা নেই।’ এর আগে, শুক্রবার মস্কোতে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সাইডলাইন বৈঠকে বসেন চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেংহে ও রাজনাথ সিং। সেখানে উত্তেজনার জন্য ভারতকে দায়ী করে ‘এক ইঞ্চি’ জমিও ছাড় দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন ওয়েই ফেংহে।

এ বিষয়ে সাংহাই একাডেমি অফ সোস্যাল সায়েন্সের ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের গবেষণা সহযোগী হু জিয়াং শনিবার গ্লোবাল টাইমসকে বলেন, গুরুতর উত্তেজনা হ্রাস করতে উভয় পক্ষের ইচ্ছা প্রকাশই বৈঠকটির একটি ইতিবাচক ফল। ভারতও শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর প্রদর্শিত যুক্তিসঙ্গত ও ইতিবাচক আচরণের অর্থ এই নয় যে, তারা বুঝতে পেরেছে সীমান্ত অঞ্চলে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে চীনকে ভয় দেখানো যাবে না।

ভারত সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে জানিয়ে হু জিয়াং বলেন, ‘সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে, লাদাখ অঞ্চলে শীত পড়ে যাবে, তখন তাপমাত্রা মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে। ভারত সেখানে প্রায় ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এটি সেখানে তাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে টিকে থাকার মতো প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের সামর্থ্য ভারতের নেই। ফলে, সেনা না সরালে যুদ্ধ ছাড়াই সেখানে হতাহতের ঘটনা দেখতে পাবে তারা।’

ভারতের আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই সেখানে সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী অবস্থানের জন্য চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে বলে চীনের একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন। সেখানে চীনা সেনারা এমন অবকাঠামো তৈরি করেছে যাতে এমন আবহাওয়াতেও কোন সমস্যা না হয়। চীন সেখানে ভারতের থেকে আরও উন্নত অস্ত্রসহ আরও বেশি বাহিনী মোতায়েন করেছে।

তবে হু জিয়াং মনে করেন, চীনকে এখনও সতর্ক থাকতে হবে এবং সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভারত তার সেনাদের মৃত্যু ঝুঁকি উপেক্ষা করে শীতকালে সীমান্ত অঞ্চলে তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে পারে। কারণ, চীনের সাথে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সঙ্কটের অবসান ঘটালে, তাকে ব্যর্থতা মনে করে জাতীয়তাবাদীরা হতাশ হতে পারে বলে বিজেপি সরকারের উদ্বেগ রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মস্কোতে এসসিওর সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সাথে সাক্ষাত করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। সূত্র: গ্লোবাল টাইমস।



 

Show all comments
  • A R Sarker ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৯:৩৫ পিএম says : 0
    Varot k juddher maddhom a akta sikkha deoa dorler.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ