Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলপিজি’র বাজার বাড়াতে পদ্মা অয়েলের সঙ্গে কাজ করবে বেক্সিমকো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৫:৪৩ পিএম

এলপিজি’র বাজার বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্যে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান) সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছে বেক্সিমকো এলপিজি ইউনিট-১ লিমিটেড। ফলে এখন থেকে পদ্মা অয়েলের নিবন্ধিত ফিলিং স্টেশনগুলোতে এলপিজি পাম্প স্থাপন ও অটোএলপিজি বিক্রি করতে পারবে বেক্সিমকো এলপিজি লিমিটেড। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) কারওয়ান বাজারের বিটিএমসি ভবনে পদ্মা অয়েল কোম্পানির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

অটোগ্যাস বা লিকুফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রশংসিত। এই চুক্তির মাধ্যমে বেক্সিমকো লিমিটেড সারা দেশের অটোমোবিলগুলোতে ব্যবহারের জন্য পরিবেশ বান্ধব জ্বালানী অটোএলপিজি দ্রুত প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবে। বর্তমানে পদ্মা অয়েলের ৬৯৫ টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। চুক্তি অনুসারে পদ্মা ওয়েল কোম্পানি প্রতি লিটার এলপিজিতে শূণ্য দশমিক ৫০ টাকা রয়্যালটি পাবে। যা বেক্সিমকো এলপিজি কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠিত অটোএলপিজি পাম্পের মাধ্যমে বিক্রি করবে। বেক্সিমকো এলপিজিকে ২০১৬ সালের শুরু দিকে অটোএলপিজি স্টেশনগুলির জন্য জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে ৫০০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিলো।

চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন পদ্মা ওয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান ও বেক্সিমকো এলপিজি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মৃণাল রায়। উপস্থিত ছিলেন পদ্মা অয়েল কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) সোহেল আবদুল্লাহ ও নুমান তাপাডার, উপ-মহাব্যবস্থাপক, ঢাকা ও বেক্সিমকো এলপিজি’র চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এম মুনতাসির আলম, বিজনেস ডেভেলপমেন্টের প্রধান মিস তাসনুভা চৌধুরী।

বেক্সিমকো এলপিজি’র সিইও মৃণাল রায় বলেন, এখন পর্যন্ত বেক্সিমকোর ৯টি অটোএলপিজি পাম্প চালু করেছে। আরও ৪৫টি চালুর প্রক্রিয়া চলছে। স্থান ও ধারণ ক্ষমতার ওপর প্রতিটি পাম্পের বিনিয়োগ নির্ভর করে। বেক্সিমকো এলপিজি সর্বোচ্চ ভালো মানের প্রোাপেইন ও বুটেন মিশ্রিত এলপিজি সরবরাহে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে জ্বালানিটিতে সঠিক মানের অকটেন থাকে এবং যানবাহনের ইঞ্জিনের কোনো ক্ষতি হয়না।

তিনি জানান, এলপিজি খাতে ২০১৮ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে বেক্সিমকো এলপিজি। এই কোম্পানিই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে গৃহস্থলি কাজে ব্যবহৃত কম্পোজিট ফাইবারগ্লাস সিলিন্ডার।

বেক্সিমকো এলপিজির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এম মুনতাসির আলম জানান, বেক্সিমকো কম্পোজিট সিলিন্ডার বিস্ফোরনরোধী এবং স্বচ্ছ ফাইবারগ্লাস দ্বারা তৈরি হওয়ায় ব্যবহারকারীরা বাইরে থেকেই গ্যাসের স্তর দেখতে পায়। এগুলোর ওজন প্রচলিত ইস্পাত সিলিন্ডারের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ কম। যে কারণে ব্যবহারকারীরা সহজেই এই সিলিন্ডার বহন করতে পারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেক্সিমকো

২০ অক্টোবর, ২০২২
২ ডিসেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ