পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সবুজ সবজিতেও আগুন। করোনার এই সময়ে এমনিতেই কমেছে আয়। ফলে কাঁচাবাজারের এই বাড়তি দামে দিশেহারা নিম্মবিত্তের মানুষ। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। যদিও বাজারে স্বল্প পরিমাণে দেখা যাচ্ছে শীতের আগাম সবজি বাঁধাকপি, ফুলকপি, এমনকি শিমও। ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। সবজির এই চড়া দামের মধ্যে নতুন করে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের। ফলে ক্রেতাদের দাবি বাজারে এখন শুধুই অস্বস্তি।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া কেজিতে রসুনের দাম ২০ টাকা এবং আদার দাম ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হয় ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদের পর থেকেই ব্রয়লার মুরগি কম দামে বিক্রি হচ্ছিল। এতো দিন আমরা ১১০-১১৫ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। কিন্তু পাইকারিতে এখন ব্রয়লারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। যে কারণে কেজি ১২৫ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের শুরুতে ভোগানো আদার দাম যেন আবার পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। দফায় দফায় দাম বেড়ে আদার কেজি আবার ২৫০ টাকায় উঠেছে। অবশ্য কোনো কোনো বাজারে ২০০ টাকা কেজিতেও আদা বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এসব বাজারে ১৭০ টাকা কেজিতে আদা বিক্রি হয়েছে।
দাম বাড়ার এ তালিকায় থাকা দেশি রসুনের কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। আর ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুনের দাম বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, আদার দাম দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে। নতুন করে আরও বেড়েছে। দেশি আদা এখন বাজারে তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে তার অর্ধেক নষ্ট। যে কারণে আমদানি করা আদার ওপরে নির্ভর করে বাজার চলছে। এ কারণে প্রায় প্রতিদিনই আদার দাম বাড়ছে। দুদিন আগেও আদার কেজি ১৭০ টাকা বিক্রি করেছি। এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে হচ্ছে। আমদানি করা রসুনের কেজি গত সপ্তাহে ৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এখন ৭০ টাকার নিচে বিক্রি করার উপায় নেই।
এদিকে শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকা। ছোট আকারের ফুলকপি, বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা। এছাড়া গত কয়েক সপ্তাহের মতো এখনো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। এছাড়া পটল, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস। ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যা ও বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণেই সবজির দাম এমন চড়া। তবে বাজারে শীতের আগাম সবজি আসতে শুরু করেছে। আগাম সবজির সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, দুই মাসের বেশি সময় ধরে সব ধরনের সবজির দাম চড়া। ৫০ টাকার নিচে তো কোনো সবজি পাওয়া যায় না। এক আঁটি শাক কিনতেও ২০ টাকা লাগে। এখন আবার নতুন করে আদা, পেঁয়াজ, রসুনের দাম বেড়েছে। বাজারে কোনো কিছুর দাম স্বস্তি দিচ্ছে না। তাদের দাবি, খাওয়ার জন্য আগে যে খরচ হতো, গত মাসে তার দ্বিগুণ খরচ হয়েছে। অথচ এ সময়ে খাওয়ার পরিমাণ বাড়েনি, বরং কমেছে। চলতি মাসে খরচ আরও বেশি হবে মনে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।