Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১১ সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

দেশের শিল্প-ব্যবসা-অর্থনীতি অঙ্গনে শেয়ারবাজার নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই। তবে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ক্রিকেট খেলার মতোই অনিশ্চয়তা। তবে শেয়ারবাজারে দরপতনের কারণে বিতর্কও কম নয়। তবে এবার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ভাল খবর উঁকি দিচ্ছে। সাপ্তাহের পর সাপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকা শেয়ারবাজার আরও একটি সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যদিয়ে পার করেছে। মূল্য সূচক বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। এর মাধ্যমে টানা ১১ সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকল দেশের শেয়ারবাজার।

গত সপ্তাহজুড়ে সূচক ও বাজার মূলধন যে হারে বেড়েছে, লেনদেন বেড়েছে তার থেকে বেশি। আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। ফলে গড় লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। লেনদেনের এমন উত্থানের সপ্তাহে মূল্য সূচকও পিছিয়ে নেই। ডিএসইর প্রধান মূল্য ও বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক এক শতাংশের ওপরে বেড়েছে। এর সঙ্গে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৭২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে দুই হাজার ৯৩১ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৪ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১২ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা ১১ সপ্তাহ স‚চকটি বাড়ল। ১১ সপ্তাহের টানা এই উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ৯৬৫ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৪টির। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮২৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২৩১ কোটি ১ লাখ টাকা বা ২৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৮১ দশমিক ৮১ শতাংশ। ‘বি’ গ্রুপের অবদান ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শেয়ারবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ