Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই বার ভোট দিতে বলে ফের সমালোচিত ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৮:১৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ৩ নভেম্বর হলেও শুক্রবার থেকেই ডাকযোগে (মেল ইন) ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। শুরু থেকেই এই প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে আসছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যে ডাকযোগে ভোটগ্রহণের প্রাক্কালে তিনি ভোটারদের দুই বার ভোট দেবার পরামর্শ দিয়েছেন। এমন ‘বেআইনি’ প্ররোচনার ফলে সমালোচনার ঝড় উঠছে।

ট্রাম্পের অভিযোগ, ‘মেল ইন’ প্রক্রিয়ায় কারচুপির আশঙ্কা বেশি। কোনো তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই তিনি এমন আশঙ্কার উল্লেখ করে চলেছেন। সেই প্রক্রিয়া থামাতে না পেরে এবার তিনি নর্থ ক্যারোলাইনার ভোটারদের দুই বার ভোট দেবার ডাক দিয়েছেন। একবার ডাকযোগে, একবার সশরীরে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তার মতে, একমাত্র এভাবেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা যাচাই করা সম্ভব। সেই প্রক্রিয়া নিখুঁত হলে ডাকযোগে ভোট দেবার পর কোনো ভোটার দ্বিতীয়বার ভোট দেবার সুযোগ পাবেন না।

তবে, নর্থ ক্যারোলাইনার মতো কিছু রাজ্যে শুধু একাধিকবার ভোট দেয়াই বেআইনি নয়, কাউকে সে কাজে উৎসাহ দেয়াও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল ও ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্য জশ স্টাইন এক টুইট বার্তায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ এনেছেন। তার মতে, প্রেসিডেন্ট হয়েও ভোটারদের আইন ভাঙতে উৎসাহ দিয়ে নির্বাচনে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প শিবির অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কেলেই ম্যাকএনানি ফক্স নিউজ চ্যানেলকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মোটেই কাউকে বেআইনি কাজ করতে বলছেন না। তিনি ভোটারদের সচেতন করতে শুধু বলেছেন, যে প্রত্যেকের ভোট যাতে সত্যি নথিভুক্ত হয়, তা যাচাই করতে হবে। সেটা না হলে সশরীরে ভোট দিতে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প।’

ফেসবুক জানিয়েছে, ট্রাম্পের যে ভিডিওতে দুই বার ভোট দেবার ডাক দিয়েছেন, কোম্পানির নীতি মেনে সেটি সরিয়ে ফেলা হবে। কোনো মন্তব্য ছাড়া অথবা প্রেসিডেন্টের পক্ষ নিয়ে সেই ভিডিও শেয়ার করলেও ভিডিওর যে কোনো সংস্করণ সরিয়ে ফেলা হবে। টুইটারও ট্রাম্পের মন্তব্য ‘ফ্ল্যাগ’ করেছে।

চলতি বছরে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডাকযোগে ভোট নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আদালতে নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ঘিরে একাধিক মামলার কারণে অনেক রাজ্যে বিঘ্নের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আদালতের রায়ের কারণে শেষ মুহূর্তে নিয়মকানুন বদলাতে হলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। ভোটগণনার অর্থের জোগান নিশ্চিত করার বাজেট নিয়েও মার্কিন কংগ্রেসে দুই দলের মধ্যে বিতর্ক চলছে। সূত্র: রয়টার্স, এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ