বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জোরপূর্বক বরিশাল মহানগরীর কথিত মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নেয়ার চেষ্টকালে ধস্তাধস্তিতে নিহত হয়েছে সুমন খান নামে ৩০ বছরের মাদকাসক্ত যুবক। গত বুধবার রাতে নগরীর রূপাতলীতে বেতার কেন্দ্র সংলগ্ন নিহত সুমনদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালকসহ ৫ জনকে স্থানীয় জনতা আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। মাদকাসক্ত সুমনকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পরিবার। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- ড্রিমলাইফ মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক বাপ্পী সিকদার (৩০), কর্মচারী রায়হান (২০) ও রাব্বী (২০) এবং প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবক উজ্জল সমাদ্দার (৩০), মো. বায়েজিদ (২২)। নিহত সুমন খান রূপাতলীর মৃত ছাত্তার খানের ছেলে। একসময়ের মাইক্রোবাস চালক সুমন মাদকাসক্ত হয়ে গত ৩/৪ বছর ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল বলে স্থানীয়রা জানায়।
সুমনের মা খাদিজা বেগম জানান, গত ৩/৪ বছর সুমন মাদকাসক্ত ও অসুস্থ। এর আগেও একবার বাড়ির অদূরে ড্রিমলাইফ মাদক নিরাময় কেন্দ্রে তাকে রাখা হয়েছিল। গত বুধবার বিকালে পুনরায় সুমন টাকার জন্য তাকে মারধর ও বাসার আসবাপত্র ভাঙচুর করে। এসময় সুমনের অন্য দুই ভাই তাকে নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে খবর পাঠায়। খাদিজা বেগমসহ পরিবারের অন্যদের অভিযোগ, নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন এসে সুমনকে বুঝিয়ে নেবার চেষ্টা না করে তার সঙ্গে জবরদস্তি করতে থাকে।
তাকে টানা হেচরা করে ঘর থেকে ওঠানে বের করে নিয়ে আসে। এসময় ২/৩ জন সুমনের বুকের ওপর চেপে বসে। সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে দ্রুত শের-ই বাংলা চিকিৎসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর পর ওই বাড়িতে আসা মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক বাপ্পিসহ ৫ জনকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। কোতোয়ালী থানার এসআই মো. আসাদ বলেন, মৃত সুমনের ভাই সুলতান খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেফতার হওয়া ৫ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।