রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে : দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধর্মীয় শিক্ষার একমাত্র বৃহৎ বিদ্যাপীঠ তালোড়া শাহ্ এয়তেবারিয়া কামিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছরেও সরকারি কোনো অনুদান মেলেনি। লাগেনি কোনো উন্নয়নের ছোঁয়া। দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কি. মি. দক্ষিণে তালোড়া পৌরসভা এলাকার গয়াবান্দা নামক স্থানে শাহ্ এয়তেবারিয়া কামিল মাদরাসাটি অবস্থিত। এলাকার ধর্মপ্রাণ আব্দুল আজিজ মুন্সী, আব্দুস সুবহান চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরীসহ বেশকিছু ব্যক্তির আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৫৮ সালে ৩ একর জমির উপর মাদরাসাটি স্থাপিত হয়। মাদরাসাটিতে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৫১৯ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা ২৭ জনসহ কর্মরত কর্মচারীর সংখ্যা ৬ জন। সরকারি অনুদান ছাড়াই কেবলমাত্র ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবক আর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে এই মাদরাসাটি উপজেলার একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষার কামিল মাদরাসা। মাদরাসাটিতে ৮০-এর দশকে তালোড়ার কৃতী সন্তান লন্ডন প্রবাসী নূরন্নবী মুন্সী ওরফে তারা মুন্সী নিজ উদ্যোগে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ৫২ কক্ষবিশিষ্ট একটি বিশাল ভবন নির্মাণ করেন। মাদরাসাটি প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। গত ৪ আগস্ট সরেজমিনে মাদরাসায় গিয়ে দেখা গেছে, দুপচাঁচিয়া-তালোড়া সড়কের পার্শ্বে গয়াবান্দা নামক স্থানে মনোরম মনমুগ্ধকর পরিবেশে বিশাল এই মাদরাসাটি দাঁড়িয়ে আছে। এ পথে চলাচলের সকলেরই মাদরাসাটি দৃষ্টি কেড়ে নেয়। মাদরাসা গভর্নিং বডির বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ রাজু “দৈনিক ইনকিলাব”-কে জানান, গ্রামের উল্লিখিত ব্যক্তি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজনের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষার প্রসারের লক্ষ্যে মাদরাসাটি গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫৮ বছরেও মাদরাসাটি সরকারিভাবে কোনো ভবন নির্মাণ হয়নি। নির্মাণের কোনো অনুদানও পায়নি। মাদরাসাটি প্রায় ১০ একর নিজস্ব পুকুর ও জমি রয়েছে। যা বার্ষিক পত্তন থেকে বছরে ৫ লক্ষাধিক টাকা আয় হয়। এই টাকা দিয়েই মাদরাসার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়ে থাকে। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, উপজেলার দীর্ঘদিনের পুরাতন এবং বৃহৎ একমাত্র এই কামিল মাদরাসাটি এলাকায় ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলছে। অথচ, মাদরাসাটি উন্নয়নে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। উপজেলার দীর্ঘদিনের অবহেলিত পুরাতন এই কামিল মাদরাসার ছেলেমেয়েদের খেলাধুলার জন্য মাঠ সংস্কার করা জরুরি। মাদরাসাটির দক্ষিণ ও পশ্চিম পার্শ্বে সীমানা প্রাচীর নেই। ফলে মাদরাসা চলাকালীন বিভিন্ন গবাদিপশু অবাধে মাদরাসায় প্রবেশ করে। সীমানা প্রাচীর দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে সম্ভব হচ্ছে না। তিনি উপজেলার একমাত্র এই কামিল মাদরাসাটির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।