Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খানা-খন্দে জনদুর্ভোগ চরমে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

দক্ষিণ চট্টগ্রামসহ কক্সবাজার ও পার্বত্য বান্দরবান জেলায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পুরোটাই বর্ষার টানা বৃষ্টিতে অসংখ্য খানা-খন্দে ভরে গেছে। এ সড়কের চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ থেকে কক্সবাজার টার্মিনাল পর্যন্ত পুরো সড়ক জুড়ে কাপের্টিং উঠে গিয়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রীবাহী বাসসহ সকল ধরণের যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। ঝুঁকি নিয়ে চলায় বাড়ছে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ হয়ে পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া এবং কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু ও সদর উপজেলার উপর দিয়ে গেছে প্রায় ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। কক্সবাজারে অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত আর পাহাড়ের রাণী পার্বত্য জেলা বান্দরবন।
এ কারণে দুটি জেলা পর্যটন সমৃদ্ধ হওয়ায় এ সড়কে দেশ-বিদেশের মানুষের যাতায়াত অত্যন্ত বেশি। তাই ব্যস্ততম এ সড়কে যানবাহনের চাপও অত্যাধিক। কিন্তু সে হিসেবে সড়ক দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের তদারকি, নিয়মিত সংস্কার কিংবা মেরামত তেমন চোখে পড়ে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পটিয়ার শান্তিরহাট, আনজুরহাট, পটিয়া স্টেশন, হরনা, চন্দনাইশের রোশনহাট, বাদামতলী, গাছবাড়িয়া, বাগিছাহাট, হাশিমপুর, দোহাজারী, মৌলভীর দোকান, সাতকানিয়ার কেরাণীহাট, ঠাকুরদিঘী, লোহাগাড়া অংশের পদুয়া তেওয়ারীহাট থেকে উপজেলা সদরের বটতলী মোটর স্টেশন, আধুনগর খাঁন হাট ও চুনতি ডেপুটিহাট থেকে জাঙ্গালিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে কক্সবাজরের চকরিয়া অংশের আজিজনগর স্টেশন, হারবাং স্টেশন, বরইতলী নতুন রাস্তার মাথা, চিরিংগা বাসস্টেশন থেকে নতুন টার্মিনাল, ভেন্ডিবাজার, রিংভং ঢালা, মালুমঘাট, ডুলাহাজারা, খুটাখালী বাজার, ফুলছড়ি, রামু অংশের জোয়ারিয়ানালা, বাইপাস, খরুলিয়া বাজার, সদর উপজেলার নাপিতখালী, ঈদগাঁও স্টেশন পানিরছড়া বাজার, কালিরছড়া, বাংলাবাজার, লিংক রোড থেকে উপজেলা পরিষদের সামনে হয়ে কক্সবাজার টার্মিনাল পর্যন্ত পুরো সড়ক জুড়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
শুকনো মৌসুমে সংস্কার না করায় বর্ষায় লাগাতার বৃষ্টিতে পানি জমে এসব গর্ত আরো বড় হয়ে গেছে। যদিও দোহাজারী ও কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, এ মহাসড়কের বাজার ও স্টেশন এলাকায় এবং পাহাড়ি ঢালাতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি সহজে সরে যেতে না পেরে জমাট বেঁধে থাকে। তার ওপর দ্রুত গতির যানবাহনগুলো ব্রেক করার কারণে সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে এসব গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে বেশি।
এদিকে মহাসড়কে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শতশত ভারী ও হালকা যানবাহন। যানবাহন চলাচলের সময় গর্তে জমে থাকা ময়লা পানি পথচারীদের গায়ে ছিটকে পড়ছে। আর প্রতিনিয়ত এসব ময়লা পানিতে নষ্ট হচ্ছে মানুষের মূল্যবান কাপড়-চোপড়।
এ প্রসঙ্গে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চকরিয়া উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক আলফাজ উদ্দিন শরীফ জানান, এই মহাসড়ক দিয়ে অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। মহাসড়কের খানা-খন্দ মেরামত হয়নি, এতে ফের যানজট সৃষ্টিসহ যাত্রী বিড়ম্বনা বাড়বে।
বাস চালকরা জানান, প্রতিবছর বৃষ্টিতে মহাসড়কে ছোট-বড় গর্ত হয়। এ অবস্থায় একদিকে যানবাহন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অন্যদিকে যাত্রীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকার পরও হাজার হাজার যাত্রীকে বাধ্য হয়েই চলাচল করতে হচ্ছে মহাসড়ক দিয়ে।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ জানান, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন সেজন্য মহাসড়ক মেরামতের কাজ চলছে। যাত্রীদের ভোগান্তি এড়াতে মহাসড়কের সংস্কার কাজ দ্রুতই শেষ করা হবে। একই কথা বললেন কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু কুমার চাকমা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাসড়ক

২৮ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ