Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসপাতালে রক্ষীর চাকরি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেখতে ছোটখাটো হলে কী হবে, তেজ একেবারে ষোলো আনা। তার চেয়েও বেশি জেদ। লেজ উঁচিয়ে গোটা হাসপাতাল সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়। মানুষ পছন্দ হলে মিষ্টি হেসে কোলে উঠে আদর নেয়। আবার কাউকে অনধিকার প্রবেশ দেখলেই তাড়িয়ে ছাড়ে।
এমন জেদের বলে বলিয়ান হয়েই দিব্যি হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি জুটিয়ে নিয়েছে ছোট্ট বিড়াল। কথায় আছে ‘বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?’ সেই বিড়াল গলায় নিরাপত্তারক্ষীর পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে সদর্পে ঘুরে বেড়ায় হাসপাতাল।
অস্ট্রেলিয়ার এ্যাপওয়ার্থ হাসপাতালে গেলেই দেখা যাবে এলউডকে। ভালবেসে হাসপাতালের কর্মীরাই নামটি রেখেছে। একদিনের চেষ্টায় নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি পায়নি এলউড। এর জন্য তাকে টানা এক বছর ধরে হাসপাতালের ভেতরে-বাইরে চক্কর দিতে হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, টানা এক বছর নিয়ম করে হাসপাতালে আসত এলউড। হাসপাতালের সামনে ঘুরে বেড়াত। সুযোগ পেলে রিসেপশনে কিংবা ওয়েটিং রুমেও ঢুকে পড়ত। ধীরে ধীরে চিকিৎসক থেকে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়-পরিজনদের প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠে সে। প্রত্যেকেই এলউডের খেয়াল রাখতেন।
হাসপাতালের গম্ভীর পরিবেশে সকলের মুখে হাসি ফোটানোর ক্ষমতা রাখে ছোট্ট এই প্রাণীটি। তাকে দেখতে পেলে অসুস্থ রোগীর মন ভাল হয়ে যায়। ওষুধের তিক্ততা এবং ইঞ্জেকশনের ব্যথা অনেকটাই ভুলে যান বেশিরভাগ রোগী।
এক বছর ধরে এভাবে চলার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর সর্বসম্মতিতে এলউডকে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরিতে বহাল করা হয়। গত জুন মাসেই চাকরি পেয়েছিল এলউড। তবে পরিচয়পত্রটি তৈরি করতে একটু সময় লেগে যায়। এখন তা পরেই সগর্বে হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় এলউড। পারিশ্রমিক যা পায় তাতেই সে সন্তুষ্ট। মাঝে মধ্যে একটু সুখনিদ্রা উপরি পাওনা। সূত্র : নিউজ১৮/দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ