মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
হিজাব পরে কোনো মুসলিম নারী যদি স্কুলে যান এবং তাতে যদি শান্তি ভঙ্গ না হয়, তাহলে এতে কোনো অন্যায় নেই। হিজাব পরা এক ধরনের অধিকার। তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। ফলে মুসলিম শিক্ষিকারা চাইলে স্কুলে হিজাব পরে যেতে পারেন। এমন কথাই জানিয়ে দিয়েছেন জার্মানির আদালত। এখন থেকে হিজাব পড়তে বাধা দেয়া যাবে না।
বার্লিনের স্কুলে মুসলিম শিক্ষিকাদের হিজাব পরতে দিতে হবে। এক নারীর আবেদনের ভিত্তিতে কয়েক বছর ধরে একটি মামলা চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রায় দিয়েছেন জার্মানির আদালত। এতদিন পর্যন্ত মুসলিম শিক্ষিকারা স্কুলে হিজাব পরে যেতে পারতেন না।
নিউট্রালিটি বা নিরপেক্ষতার আইন রয়েছে জার্মানিতে। এর অর্থ হচ্ছে স্কুল বা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় চিহ্ন ব্যবহারকারী কোনো পোশাক পরা যাবে না। সে কারণেই স্কুলে হিজাব বা স্কার্ফ পরে যেতে পারতেন না মুসলিম শিক্ষিকারা। বার্লিনে বসবাসকারী এক মুসলিম নারী এই নিয়মের বিরুদ্ধে বার্লিন আদালতে একটি মামলা করেন।
দীর্ঘদিন সেই শুনানি চলার পরে ২০১৮ সালে বার্লিনের নিম্ন আদালত ওই নারীর পক্ষে রায় দেন। বলা হয়, হিজাব পরে স্কুলে যেতে পারবেন মুসলিম নারীরা। একই সঙ্গে ওই নারীকে পাঁচ হাজার ১৫৯ ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার পক্ষের উকিল এরপর উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত সরকার পক্ষের আপিল খারিজ করে তার রায় জানিয়েছেন।
রায়ে বলা হয়েছে, হিজাব পরে কোনো মুসলিম নারী যদি স্কুলে যান এবং তাতে যদি শান্তি ভঙ্গ না হয়, তাহলে এতে কোনো অন্যায় নেই। হিজাব পরা এক ধরনের অধিকার। তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। ফলে মুসলিম শিক্ষিকারা চাইলে স্কুলে হিজাব পরে যেতে পারেন। নিম্ন আদালতের রায়ের সঙ্গে কোনো অংশেই দ্বিমত পোষণ করেনি উচ্চ আদালত।
বার্লিনে বসবাসকারী মুসলিম নারীদের বক্তব্য, এটি তাদের বড় জয়। বস্তুত স্কুলে হিজাব পরা নিয়ে কিছু দিন আগে জার্মানির আরো কয়েকটি রাজ্যে গোলযোগ দেখা গিয়েছিল। বেশ কিছু রাজ্য স্কুলে হিজাব ও বোরখা পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তখনো ধর্মীয় অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রশ্ন উঠেছিল। বার্লিন আদালতের রায় এবার দেশের অন্য আদালতগুলোকেও প্রভাবিত করবে বলে অনেকে মনে করছেন। সূত্র : ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।