বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চলতি বন্যায় টাঙ্গাইলের ১১ উপজেলার ৪ হাজার ৬৮০ মৎস্য চাষির মাথায় হাত পড়েছে। অতি বৃষ্টি ও বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ১৫৩৮.৩৮৬০ হেক্টর আয়তনের ৫ হাজার ৩২৭টি পুকুরের মাছ। এতে মৎস্য চাষিদের প্রায় ২৬ কোটি টাকার উপরে অবকাঠামোসহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে মহাবিপদে রয়েছেন খামারিরা। তারা এখনো পাননি সরকারি সাহায্য সহযোগিতা।
জেলা মৎস্য অফিস জানায়, বন্যায় ১ হাজার ২০৭ মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে, যার মূল্য ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এদিকে ১ কোটি ৭৫ লাখ মাছের পোনা ভেসে গিয়েছে। যার মূল্য ৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। আর অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ২ কোটি ৫২ টাকার টাকার।
এর মধ্যে সদর উপজেলার ১৩৯ খামারির ১৭৪টি পুকুর তলিয়ে ৫৮ লাখ ৮৫ হাজার, মির্জাপুরের ৭৪ খামারির ৭৪টি পুকুর তলিয়ে ১৬ লাখ ৪৩ হাজার, দেলদুয়ারের ১৪০ চাষির ১৯৩টি পুকুর তলিয়ে ১ কোটি ৭ লাখ, মধুপুরের ২৫ চাষির ৩০টি পুকুর তলিয়ে ৫২ লাখ, গোপালপুরের ১১৫ চাষির ১১৫টি পুকুর তলিয়ে ৬৮ লাখ ৫৭ হাজার, নাগরপুরের ৫৭০ চাষির ৭৯৫টি পুকুর তলিয়ে ৫ কোটি ১৭ লাখ, বাসাইলের ২৭৬ চাষির ২৭৬টি পুকুর তলিয়ে ১ কোটি ৭৭ লাখ, ভূঞাপুরের ৩০৮ চাষির ৩৩০টি পুকুর তলিয়ে ৫ কোটি ৮৬ লাখ, কালিহাতীর ২ হাজার ৫৭০ চাষির ২ হাজার ৭৪৮টি পুকুর তলিয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ, ঘাটাইলের ৩৬৯ চাষির ৪৪০ পুকুর তলিয়ে ১ কোটি ৬৬ লাখ এবং ধনবাড়ীর ১০২ চাষির ১৪৯টি পুকুর তলিয়ে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সখীপুর উপজেলার কোন চাষি ক্ষতির শিকার হয়নি।
কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের মৎস্য চাষি মুক্তার আলী বলেন, অন্যের পুকুর বছরভিত্তিক ভাড়া নিয়ে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এবারের বন্যায় ৩টি পুকুর তলিয়ে সব মাছ বের হয়ে গেছে। এই ক্ষতির জের কতদিন যে টানতে হবে সেটা আল্লাহ জানেন। মুক্তার আলীর মতো আরো অনেক ক্ষতিগ্রস্ত চাষি বলেন, একদিকে করোনাভাইরাসে ব্যবসা বাণিজ্য নেই। এর ওপর বন্যায় একেবারে শেষ করে দিলো। পথে বসার পরিস্থিতি হয়ে গেছে।
এদিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, বন্যার নতুন পানিতে ধর্ম জাল, কারেন্ট জাল ও বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের হিড়িক পড়ে গেছে। যে মাছ ধরা পড়ছে সেগুলো অধিকাংশই তলিয়ে যাওয়া পুকুরের চাষের মাছ। সেই মাছ মেরে অনেকে আবার বিক্রিও করছেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, এবারের বন্যায় টাঙ্গাইলে ২৬ কোটি টাকার উপরে মৎস্য খাতের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অনেক খামারি ঋণ করে মাছের ব্যবসা করছেন। তদের একেবারে সর্বনাশ। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সরকারি আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। খামারিদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য পরামর্শ ও প্রযুক্তিগতসহ সার্বিক সাহায্য করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।