Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অতিরিক্ত চাঁদার দাবি- কাপ্তাই লেকে মাছ আহরণ বন্ধ

কাপ্তাই (রাঙামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২০, ৯:৩৩ পিএম

 

পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ না করায় রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে মৎস্য ব্যবসায়ীর মাছ আহরণ বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কর্ম হারিয়ে বিপাকে পড়েছে এশিয়ার বৃহত্তর কাপ্তাই লেকে সংশ্লিষ্ট খুচরা ও পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ী, মাঝি, শ্রমিকসহ পেশাজীবী হাজারও মানুষ। কাপ্তাই মৎস্য ব্যবসায় সমিতির নেতা মো. জসিম উদ্দিন জানান, পাহাড়ের একটি সশস্ত্র গ্রæপ আমাদের কাছে ৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই গ্রæপ ছাড়াও আরও মোট ৪টি গ্রæপের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি উঠে। গত বুধবার পর্যন্ত ছিল এই চাঁদা প্রদানের আলটিমেটাম দেয়া সময়। এই সময়ে টাকা পরিশোধ না করায় তারা জেলেদের মোবাইলের মাধ্যমে জানান জাল না ফেলতে। যার ফলে গতকাল হতে জেলেরা মাছ, আহরণ ও বিপনন বন্ধ রেখেছেন।
স্থানীয় এক মাঝি জানান, সওদাগরদের উপরের পার্টি তাদের কাছে চাঁদা খুঁজে। চাঁদা না দেয়াই এমন অবস্থা। দেড় শতাধিক শ্রমিক দেশের বিভিন্ন স্থান হতে কাপ্তাইতে কাজ করতে এসেছে। এখন মাছ মারা বন্ধ করতে হচ্ছে তাই এদের সবাইকেই বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া ছাড়া উপায় নেই। এশিয়ার বৃহত্তম কাপ্তাই লেকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দীর্ঘ ৩ মাস ১০ দিন মাছ আহরণ থেকে বিরত ছিল রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ের মৎস্য ব্যবসায়ীরা। অবশেষে নিষেধাজ্ঞা তোলায় স্বস্থি মিললেও দাবিকৃত চাঁদা যেন এখন আবার মরার উপর খড়ার ঘাঁ এ পরিনত হয়েছে।
কাপ্তাইয়ে মৎস্য ব্যবসায়ী নেতা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, কাপ্তাইয়ের মাছ ঢাকা, যাত্রাবাড়ি, চট্টগ্রামসহ দেশের বাহিরে পর্যন্ত যায়। এ খাতে সরকার প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব পেয়ে থাকে। আরেক ব্যবসায়ী নেতা বলেন, কাপ্তাই লেকে জাল থেকে মাছ সংগ্রহ থেকে শুরু করে বিপনন পর্যন্ত হাজারও লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে চাঁদার ভারে কাপ্তাই লেকে যদি মাছ আহরণ চিরতরে বন্ধ হয় তাহলে দেশের আমিষের চাহিদায় বড় প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান হারাবে এই পেশায় সংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষ। সরকার হারাবে রাজস্ব।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির বলেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ওনাকে কেউই এই বিষয়ে অবহিত করেননি। এদিকে কাপ্তাই থানার এসি নাছির উদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ