বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দলের কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে রাস্তায় নেমে ব্যারিকেড তৈরি করা হবে। গত মঙ্গলবারও ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রিয়াদকে কোনো কারণ ছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা করোনা ও বন্যায় তারা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছে, এটাই তাদের অপরাধ। 

গতকাল ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, ইসহাক সরকারকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। আর যেসব নেতা-কর্মী কারাবন্দি তাদেরকেও মুক্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনদের নানা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের মুখ বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যেই বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ফরিদপুরের ছাত্রলীগের নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের সাথে জড়িত। এটা তো ঢাকতে হবে। ফরিদপুরের দুই আওয়ামী লীগ নেতা ওই শহরে মার্সিডিজ গাড়ি চালায়। এগুলো তো ঢাকতে হবে।
রিজভী বলেন, এই সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিচ্ছিন্ন না হলে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায়। ১৫ অগাস্ট ও ২১ অগাস্টের ঘটনাবলী নিয়ে ক্ষমতাসীনরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যাচার’ করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আয়োজক সংগঠন ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’র আহবায়ক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী সভাপতিত্বে ও আহসান উদ্দিন খান শিপনের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর দক্ষিণের তাইজুল ইসলাম, ইসহাক সরকারের ভাই ইয়াকুব সরকার।