পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরখাস্তকৃত কেরাণী মো. আবজাল হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। দুদক তার বিরুদ্ধে ২শ’ ৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার পাচার,স্থানান্তরসহ পৃথক দু’টি মামলা করে। এর একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে ৩৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছর ২৭ জুন দুদক উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে সংস্থার সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলা দু’টি দায়ের করেন। একটি মামলায় আবজাল একক আসামি। আরেকটি মামলায় স্ত্রী রুবিনা খানমকেও আসামি করা হয়। মামলা রুজুর পর থেকে তিনি বিদেশে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি অতি গোপনে দেশে ফেরেন তিনি। গত ২৩ আগস্ট আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পনের আবেদন দেন। তবে ওইদিনই সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেন তিনি।
একটি মামলায় মো. আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধ ৩৬ কোটি ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ভোগদখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া অর্জিত অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে ২শ’ ৮৪ কোটি ৫১ লাখ ১৩ হাজার ২০৭ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের অভিযোগও করা হয়েছে। আবজালের বিরুদ্ধে করা মামলায় ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন-মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে মামলায়। রুবিনা খানম ও আবজালকে যৌথভাবে আসামি করে করা মামলায় ৩১ কোটি ৫১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪ টাকার সম্পদের কথা বলা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে ৫ কোটি ৯০ লাখ ২৮ হাজার ৯২৬ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আবজালের নামে থাকা সম্পদের চেয়ে তার স্ত্রীর নামে সম্পদের পরিমাণ বেশি। অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায় থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি স্ত্রীর নামে সম্পদ করেছেন। এসব সম্পদের বৈধ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। এজাহারে আবজালের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকার মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ মিলেছে। ২শ’ ৬৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭৫ টাকার মানি লন্ডারিং অপরাধের প্রমাণ মিলেছে রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে। এ মামলায় গতকাল আবজালের পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনূর ইসলাম। দুদকের পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।