পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আরবী বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস মুহাররম। এই মাসকে আল্লাহ পাক অসংখ্য বৈশিষ্ট ও মর্যাদার দ্বারা সম্মানিত আসনে সমাসীন করেছেন। এতদ সম্পর্কে আল কুরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘নিশ্চয়ই আল্লহর বিধান মোতাবেক আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা বারটি, যেদিন গগনমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন সেদিন থেকেই কিন্তু তার মধ্যে চারটি মাস হচ্ছে অধিক সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ। এটাই স্থায়ী ব্যবস্থা। সুতরাং তোমরা এ সময়ে নিজেদের ওপর জুলুম করো না। আর তোমরাও সমবেতভাবে কাফেরদের সঙ্গে লড়াই করো, যেরূপ তারা তোমাদের সঙ্গে লড়াই করে। আর জেনে রাখ, আল্লাহ মোত্তাকীদের সঙ্গে রয়েছেন’। (৯ নং সূরা তাওবাহ : আয়াত ৩৬)।
এই আয়াতে কারীমার অর্থ ও মর্মের প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকালে চারটি মৌলিক নীতি ও আদর্শের সন্ধান লাভ করা যায়। এই বিশ্বের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এই চারটি বিষয়ের সঙ্গে পরিচিত হওয়া নেহায়েত দরকার। আজ আমরা স্বল্প পরিসরে প্রথম বিষয়টি সম্পর্কে আলোকপাত করতে প্রয়াস পাব। আসুন, এ দিকে নজর দেয়া যাক।
স্মরণ রাখা দরকার যে, পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালা ঋতুচক্রের আবর্তনকে বারটি মাসে বিভক্ত করেছেন এবং বার মাসে এক বছর নিদিষ্ট করে দিয়েছেন। আল্লাহ পাকের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার কোনো রকম পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হবে না। মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও মনীষার ক্ষেত্রে যত বেশি উন্নতিই করুক না কেন, আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা লংঘন করা কারো পক্ষেই কোনো দিন সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে সুস্পষ্ট নির্দেশ আল কুরআনে বিবৃত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে : ‘আল্লাহ পাকের সৃষ্টি মাহাত্ম্যের কোনো পরিবর্তন হবে না’। (৩০ নং সূরা রূম : আয়াত ৩০)। সুতরাং বছর ও মাস গণনার যে সুনির্দিষ্ট পন্থা আল্লাহ পাক নির্ধারিত করে দিয়েছেন তা পরিবর্তন করে কোনো নতুন ব্যবস্থা কায়েম করা কিংবা নতুন দিনপঞ্জির অবতারণা করা অথবা পরিবর্তিত নতুন কোনো ব্যবস্থার প্রবর্তন করা কিছুতেই সম্ভব নয়। কারণ তা হচ্ছে আল্লাহর চিরন্তন ও শাশ্বত কুদরতের জ্বলন্ত স্বাক্ষর। তবে যারা আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখে না অথবা যারা আল্লাহর অস্তিত্বে অবিশ্বাসী, তাদের জন্য এই আয়াতটি একটি কঠোর সর্তক বাণী। এই আয়াত প্রতিনিয়ত তাদের সতর্ক করে দিচ্ছে যে, ‘এখনও সময় আছে, আল্লাহর কুদরতে কামেলার শাশ্বত নমুনা প্রত্যক্ষ করে কায়মনে আল্লাহর ওপর ঈমান আনয়ন করো এবং তাঁর নিকট সর্বতোভাবে আত্মসমর্পণ করো। তবেই তোমাদের নাজাত মিলবে। অন্যথায় আল্লাহর শক্ত আজাব ও গজব তোমাদের অতি শীঘ্রই পাকড়াও করবে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে পাকড়াও করেছিল’। গত ১৯ আগস্ট বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যজুড়ে ১১ হাজার বজ্রপাত ও ৩৬৭টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। সময় নিয়েছে মাত্র ৭২ ঘণ্টা। এটা কিসের আলামত। বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে কাউকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার প্রয়োজন আছে কি?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।