Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাপ্তাই শিল্প এলাকায় বন্যহাতির তান্ডব, দোকানসহ ৮বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্ত

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:৩৭ পিএম

কাপ্তাই শিল্প এলাকা ও সুইডিশ মার্কেটে বন্যহাতির তান্ডব। হামলায় ২টি দোকান ও ৬টি বসতভিটা ক্ষতিগ্রস্থ। প্রতিনিয়ত এলাকার লোকজনের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বন্য হাতির আতংকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে রাতে ঘুমিয়ে থাকা শিশুসহ পরিবার পরিজন। শিল্প এলাকার বসবাসরত লোকজন অভিযোগ করেন, দীর্ঘ একমাস যাবৎ একটি বন্য হাতি পাশ্ববতী বন হতে শিল্পএলাকা,সুইডিশ মার্কেট,কেপিএম চিপার হাউজসহ বিভিন্ন এলাকায় তান্ডব লিলা করে যাচ্ছে। উক্ত হাতিটি লোকালয়ে এে স লোকজনের বসতভিটার কলাগাছ,নারিকেলগাছ সাবারের পাশা,পাশি বসতভিটা এবং সুইডিশ মার্কেটের জাকির হোসন ও জয়নালের দোকান ভেঙ্গে পঞ্চাশ হাজার টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ করছে। মসজিদের ইমাম আনোয়ার হোসেন ও মুয়াজ্জিন ইসমাইল ফজরের নামাজ পড়তে এসে হাতির আক্রমে আহত হয়ে বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়ছে বলে উল্লেখ করেন। এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ আবু ইউসুফ,মিন্টু মিয়া,ফারুক,হালিম,আব্দুল মালেক,ইকবাল ও কবির আহমদ এরা বলেন,দীর্ঘ একমাস যাবৎ এ হাতিটি রাতে কিংবা ভোররাতে এসে আমাদের বসতভিটার গাছপালা ভেঙ্গে সাবার করে দিচ্ছে। এবং সর্বশেষ বাসাবাড়িতে এসে হামলা করছে।

আমরা এখন ঘরে থাকাটাও মুশকিল হয়ে পড়েছে। এদিকে মঙ্গলবার(২৫আগষ্ঠ) ক্ষতিগ্রস্থ ফারুক জানান,ভোর ৩টায় হাতিটি বাসায় হামলা করে নারিকেল গাছ চালের ওপর ফেলে দেয় এবং বসতের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ করে। এবং রাতে আমার স্ত্রী ও কন্যা বৃষ্ঠি আতংকে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বলে উল্লেখ করেন। রাতে মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। এদিকে এলাকার সচেতন নাগরিক আকতার আলম, আব্দুল মান্নান বলেন,প্রতিনিয় আমরা বিভিন্ন প্রকার,বাঁশিবাজিয়ে,আগুনজালিয়ে তারানোর চেষ্টা করেও ব্যাথ হয়েছি। উক্ত হাতিটি যে কোন সময় বড়ধরনের একটি ঘটনা ঘটনার পূর্বে প্রশাসন তথা বনবিভাগ এর একটি ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। এদিকে সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান,ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ,কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহাবুব উল আলম,সিএমসি সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল,বিএফআই ডিসির মাঠ পরিদর্শক আমান উল্লাসহ সবস্থরের লোকজন ক্ষতিগ্রস্থ পরিদর্শন করে। কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহাবুব উল আলম বলেন,বনের মধ্যে খাবার না থাকার কারনে এরা লোকালয়ে এস এ তান্ডব করছে। আমরা প্রশাসনিক ভাবে এদের একটা ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। পরিদর্শন শেষে সিদ্বান্ত হয় বন্যহাতি আসলে আতাঁশ বাজি ফুটিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় এদের তারাতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ