নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে। সেই অনুদানের চেক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা হাতে পেয়েছেন। শনিবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এই চেক হস্তান্তর করেন। প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সচিব মোশারফ হোসেন মোল্লা। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অর্থের চেক হাতে পেলেও ইতোমধ্যে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের ভাতা দেয়া শুরু করেছে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন। গত ৯ জুলাই ফাউন্ডেশনের বোর্ড সভায় ১১৫০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে বছরব্যাপী ভাতা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। জনপ্রতি মাসে দুই হাজার করে বছরে ২৪ হাজার টাকা দেয়ার কথা ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু বন্ধ হওয়ার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত দেশের অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের নানাভাবে সহযোগিতা কার্যক্রম চালু রেখেছে সরকার। মূলত যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের উদ্যোগেই এ সহযোগিতা কার্যক্রম চলছে। করোনাকালের শুরুতে ফেডারেশনগুলোর কাছ থেকে তালিকা এনে ১ হাজার জন ক্রীড়াবিদকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ এনে প্রতি জেলা থেকে ৪৫জন এবং প্রতিটি বিভাগের দশজন করে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে এনএসসি দিয়েছে ৭ হাজার টাকা করে। এ ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ১১৫০ জনকে বছরব্যাপী ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রাসেল। কাল প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক হস্তান্তরের পর প্রতিমন্ত্রী বলেন,‘স্বাধীনতার পরই অসচ্ছল ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের কল্যাণে এ ফাউন্ডেশনটি গড়েছিলেন সর্বকালের সেরা বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার স্মৃতিবিজড়িত এ ফাউন্ডেশনটি সব সময় ক্রীড়াবিদদের পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই কল্যাণ ফাউন্ডেশনে অনুদান দেয়ায় আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই ১০ কোটি টাকা স্থায়ী আমানত হিসেবে রেখে তার লভ্যাংশ থেকেই অসহায় ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের সহায়তা করা হবে বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।