বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের আনোয়ারার উপকূল রায়পুর ইউনিয়নের বারআউলিয়া এলাকায় তিন দিন ধরেই উঠানামা করছে জোয়ারের পানি। উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের বারআউলিয়া এলাকার খোলা বেডিবাঁধ দিয়ে বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে মানবেতর জীবণ যাপন করছে। জোয়ারের পানিতে বসত ঘর, করস্থান, মসজিদ-মাদ্রাসা, পুকুর,মৎস্য ঘের ডুবে একাকার হয়ে যায় । যার ফলে তিন দিন ধরে অধিকাংশ পরিবারে রান্না-বান্না হয়নি বলে জানা গেছে। সেই সাথে উপকূলীয় জুঁইদন্ডী ইউনিয়নেও জোয়ারের পানি প্রবেশ করে স্থানীয়দের ভোগান্তি বেড়েছে বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে আনোয়ারা নি¤œাঞ্চলের তৈলারদ্বীপ, বারখাইন, হাইলধর, পরৈকোড়া, কৈখাইন ও আনোয়ারা সদরসহ বিভিন্ন গ্রামে জনদূর্ভোগ বেড়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড চলতি বর্ষা মৌষম শেষেই বেডিবাঁেধর মাটির কাজ শেষ করে ব্লক বসানোর কাজ শুরুর মাধ্যমে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বারআউলিয়া এলাকায় প্রায় দুইশ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনায় বেডিবাঁধের উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হলেও বারআউলিয়া এলাকায় টিকাদারী প্রতিষ্ঠান মাটির কাজ না করে ব্লক বসিয়ে দেয়ায় খোলা বেড়িবাঁধ দিয়ে জোয়ারের পানি উঠানামা করার ফলে স্থানীয়রা বারবার দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে গতকাল শনিবার ঠানা তিন দিন জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় রায়পুর ইউনিয়নের ১০ হাজারেরও অধিক মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আবুল হাসান কাশেম জানায়, গত তিন দিন ধরে জোয়ারের পানিতে রায়পুর ইউনিয়ন ভাসছে। এতে করে স্থানীয়রা পানি বন্ধি হয়ে পড়ে। তিনদিন ধরে অধিকাংশ পরিবারে রান্না-বান্না হয়নি।গর্ভবতী মহিলা,অসুস্থ্য বৃদ্ধা ও শিশুদের নিয়ে বেকাদায় পড়েছে পরিবার।
রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম জানান, বারআউলিয়া এলাকার বেডিবাঁধের খোলা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে স্থানীয় ৮ ,৯,৬, ৫ ও ৪ নং ওয়ার্ডেও বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি, মসজিদ মাদ্রাসা, কবরস্থান ও দোকানপাট ডুবে যায়। যার ফলে জনজীবণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় কুমার ত্রিপুরা জানান,চলতি বর্ষার মৌষুম শেষ হলেই মাটির কাজ শেষ করে সিসি ব্লক বসানোর মাধ্যমে ভাঙন ও জোয়ারের পানির সমস্যা স্থায়ী ভাবে লাগব করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।