নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের বর্তমান নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর। ফেডারেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এরপরই নতুন নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে গেল চারবছর চুপ থাকলেও আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান কমিটির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সম্প্রতি সোচ্চার হয়েছেন ফেডারেশনের সাবেক কর্মকর্তা ও সংগঠকরা। এই তালিকায় আছেন বর্তমান কমিটির কিছু সদস্যও। বিশেষ করে সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের ফিরিস্তি তুলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে ইতোমধ্যে একটি অভিযোগপত্রও দাখিল করেছেন তারা। তবে এসব অভিযোগের পাল্টা জবাবে এবার মুখ খুললেন বাহার। জানালেন ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রের বাইরে কিছুই করেননি তিনি। শুক্রবার বাহার বলেন,‘গঠনতন্ত্রের ধারা ৯.৩ অনুযায়ি ইসি কমিটির সিদ্ধান্তে ভোটের মাধ্যমে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। তখন তো কেউ কথা বলেনি। এখন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে কেন এত কথা উঠছে। আমিও নির্বাচন চাই। কাউন্সিলররা যদি মনে করেন আমি উপযুক্ত, তাহলে তারা আমাকে ভোট দিবেন। এত কাদা ছোড়াছুড়ির কি আছে?’ তিনি যোগ করেন,‘আমার পাই টু পাই টাকার হিসাব রয়েছে। কেউ দেখতে চাইলে আসেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার বিরুদ্ধে বিষোদাগার করবেন না। যারা এখন অভিযোগ তুলছে এরাই কিন্তু এক সময় দায়িত্বে থাকাকালীন মেয়েদের আন্তর্জাতিক সফরগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল। তারাই এখন আবার নির্বাচনের আগে নানারকম ফন্দিফিকির ও তদবির করে ফেডারেশনে প্রবেশের রাস্তা খুঁজচ্ছে।’
সিইও নিয়োগ নিয়ে ব্যাডমিন্টন সাধারণ সম্পাদকের কথা,‘গঠনতন্ত্রে ২২.৬ এর ‘জ’ অনুচ্ছেদে বলা আছে প্রয়োজনবোধে কর্মচারি নিয়োগ করা এবং তাহাদের পরিতোষ নির্ধারণ করা যাবে। তাহলে সিইও নিয়োগ নিয়ে কেন এত কথা? আসলে আমাকে হেয় করার জন্যই প্রতিপক্ষ উঠে পড়ে লেগেছে।’ গেল চার বছর লিগ না হওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে বাহার জানান, দায়িত্বগ্রহণের পর লিগ আয়োজনের জন্য তিনি ৪ বার সভা করেছেন। কিন্তু মাত্র ৫টি ক্লাব ছাড়া কেউ আসেনি। অন্যদের সহযোগিতা পাননি বলেই লিগ করতে পারেননি। তার দাবী ঘরোয়া আসর বাদে গেল চারবছর যতগুলো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট হয়েছে এবং পদক এসেছে অন্য কারো সময় তা হয়নি এবং আসেনি। তিনি আরো বলেন,‘আসলে আমার কাজে ঈর্ষান্বিত হয়ে অভিযোগকারীরা নোংরামি করেছে। যা মোটেই কাম্য নয়।’ আসলেও কি বাহারের কথা সত্য, নাকি চেয়ার ঠিক রাখতে তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন? এমন প্রশ্ন দেশের ব্যাডমিন্টনবোদ্ধাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।