মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের আসাম রাজ্যের কোকরাঝাড় শহরের কাছে একটি সাপ্তাহিক হাটে বোড়ো জঙ্গিদের হামলায় নিহত হয়েছেন ১৫ জন সাধারণ মানুষ। আহত হয়েছেন আরো ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। মৃতদের মধ্যে কয়েকজন বাঙালি আছেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে এক জঙ্গি। আসামে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই প্রথম জঙ্গি হামলা। গতকাল শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ একটি টাটা সুমোতে চেপে ৫-৭ জন সশস্ত্র জঙ্গি কোকরাঝাড় শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে বালাজান তিনালি বাজারে নেমে গুলি চালিয়ে ও গ্রেনেড ছুড়ে হামলা চালিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। এদিন হাট থাকায় মানুষের ভিড়ও ছিল বেশি। খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী ছুটে আসে। তাদের গুলিতে একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। বাকিরা পালিয়ে গিয়েছে। আশেপাশের বাড়িতেই তারা গা-ঢাকা দিয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। চলছে জোর তল্লাশি। মৃত জঙ্গির কাছে একটি একে ৪৭ রাইফেল পাওয়া গেছে। আসাম পুলিশের ডিজি মুকেশ সহায় জানিয়েছেন, এনডিএফবি (সংবিজিত গোষ্ঠী) এই হামলার সঙ্গে জড়িত। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা কড়া হাতে এর মোকাবিলা করবো। হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানা গেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও কথা বলেছেন সর্বানন্দের সঙ্গে। নিহতদের পরিবারবর্গকে এককালীন ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের ১ লাখ টাকা দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে আসাম সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, এই ঘটনা দুঃখজনক। এত মানুষের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। আসামে শান্তি বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। কংগ্রেসসহ সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করে জানিয়েছেন, আসামের কোকরাঝাড়ে সন্ত্রাসী হামলা উদ্বেগজনক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছি। পর্যবেক্ষকদের অনুমান, বোড়ো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কিছুদিন ধরেই কোকরাজাড় অঞ্চলে অভিযান চলছিল। ফলে তারা পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটানের গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এই সব জঙ্গিদের অর্থ আসে তোলা আদায়ের মাধ্যমে । সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই বেপরোয়াভাবে জঙ্গিরা আক্রমণ চালিয়ে আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।