মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান চলতি মৌসুমে কোভিড-১৯ মহামারির উদ্বেগজনক চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও লক্ষ্যমাত্রার দেড় গুণেরও বেশি আম রফতানি করেছে। ৮০ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে তারা ১ লাখ ২৫ হাজার টন আম রফতানির মাধ্যমে বহু কাক্সিক্ষত ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে।
অল পাকিস্তান ফ্রুট অ্যান্ড ভেজিটেবল এক্সপোর্টার্স, আমদানিকারক ও মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফভিএ) পৃষ্ঠপোষক ওয়াহিদ আহমেদ বলেছেন, ‘সকল প্রতিক‚লতা সত্তে¡ও দেশের রফতানিকারকরা ফেডারেল সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের পাশাপাশি আগ্রাসী কৌশল অবলম্বন করে লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ হাজার টন বেশি আম রফতানিতে সক্ষম হয়েছেন’। তার অনুমান, আগামী এক-দেড় মাসে আরও ২৫ হাজার টন আম রফতানি হবে।
তার মতে, বিগত আমের মৌসুম রফতানির ইতিহাসের অন্যতম কঠিন সময় ছিল, তবে ব্যবসায়ীরা যথাযথ এবং বাস্তবসম্মত কৌশল অনুসরণ করে চ্যালেঞ্জগুলোকে সাফল্যের সাথে অনন্য সুযোগে রূপান্তরিত করেছেন। ব্যবসায়ীদের গৃহীত পদক্ষেপের বিশদ বিবরণ দিয়ে আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাপী লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়ার পরে ব্যবসায়ীরা পরিবহণের পদ্ধতিটি বিমান থেকে সমুদ্র ও স্থলপথে পরিবর্তন করেন। তিনি বলেন, ‘চলতি আম মৌসুম শুরুর আগে গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাস সঙ্কটে জড়িয়ে পড়ে এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চাপানো লকডাউন সুপারমার্কেট বন্ধ করে দেয়’।
তিনি উল্লেখ করেন, মহামারিটির মাঝখানে আমের মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে স্টেকহোল্ডাররা মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হন। এসময় বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকা মানুষের খাদ্যের আইটেমগুলোর চরম প্রয়োজন ছিল, বিশেষত আমের মতো পুষ্টিগুণসম্পন্ন ফলের। আহমেদ জোর দিয়ে বলেন, উচ্চ পুষ্টিগুণের কারণে করোনাভাইরাস রোগের বিরুদ্ধে আম ছিল অত্যন্ত কার্যকর।
তিনি বলেন, ‘এ অনন্য সুযোগের সময়োপযোগী সুযোগ গ্রহণ করে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী একটি বিশেষ সভা আহŸান করেন এবং স্থানীয় আমের প্রচারের জন্য আগ্রাসী অভিযান চালুর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন’।
‘এ দেশগুলোর সাথে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে বহু রাষ্ট্রপ্রধানকে উপহার হিসাবে আম পাঠানোর জন্য বিদেশে পাকিস্তানি মিশনের পরিষেবা গ্রহণের মাধ্যমে এটি করা হয়েছিল’। সিদ্ধান্তের আলোকে পাকিস্তানের বাণিজ্য উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (টিডিএপি) বিদেশের পাকিস্তানি মিশনের মাধ্যমে বিশ্বের ২৪টি শহরে ৩০টি রাষ্ট্রপ্রধানকে আম প্রেরণ করে আমের প্রচার প্রকল্প শুরু করে। আহমেদের মতে, এ সুচিন্তিত কৌশলটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানি আমের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
তিনি বলেন, ‘প্রাপক দেশগুলির গ্রাহকরা পাকিস্তানি আম সুস্বাদু, অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং মারাত্মক মহামারির বিরুদ্ধে কার্যকর হিসাবে তুলে ধরতে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেন’। তিনি আরও যোগ করেন যে, পাকিস্তানি আমের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে আফগানিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান এবং ওমানও বিশাল আন্তর্জাতিক বাজার বলে প্রমাণিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ওমান যথাক্রমে ৩৩ হাজার, ১৭ হাজার ৯৫৬ এবং ১১ হাজার ৪৫৯ টন পাকিস্তানি আম আমদানি করেছে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, তার সমিতি ইরান ও আফগানিস্তান সীমান্ত বন্ধ থাকার বিষয়টি উত্থাপন করেছিল এবং জাতীয় পরিষদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সমস্যা তুলে ধরেছিল।
‘এরপরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় খাদ্য নিরপত্তা ও গবেষণা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অল্প সময়েই এ সমস্যার সমাধান করা হয়, যা ছিল প্রশংসনীয়’। আহমেদ উল্লেখ করেন, এভিয়েশন বিভাগের নির্দেশে পিআইএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আম রফতানিকারকদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করে বিমান পরিবহনের ক্ষেত্রে তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, দ্রæত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে সিইও ফল ও শাকসবজি রফতানির সুবিধার্থে বিমান পরিবহনের মূল্য ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ হ্রাস করেছে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।